দিনাজপুুরের চিরিবন্দর এলাকায় মাসুদ বিল্লাহ এক আলোচিত দুর্নীতিবাজ। অভিযোগ মতে, চিরির বন্দর থানার ঐতিহ্যবাহী প্রায় ২৯.৮০ একর জমির উপর স্থাপিত ঘিনা মোহাম্মদ শাহ ওয়াক্ফ এস্টেট (পলাশবাড়ী জব্বারিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা) এর প্রতিষ্ঠানটির বেআইনী দখলকার ও আত্মসাৎকারী মাসুদ বিল্লাহ গত ৮/১০ বছরে এই প্রতিষ্ঠানের ধান, মাছ ও গাছ বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছেন কথিত মোতাওয়াল্লী মাসুদ বিল্লাহ। বিগত সরকারের আমলে ওয়াক্ফ প্রশাসনের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ও থানা পুলিশ ম্যানেজ করে প্রতি বৎসর কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন এই মাসুদ বিল্লাহ। এক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, ঘিনা মোহাম্মদ শাহের বংশের লোক না হওয়া সত্ত্বেও নকল ওয়ারিশন নামা বানিয়ে নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য অসৎ উত্তারাধিকারদের মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে প্রতি বছর শত শত মন ধান, মনকা মন মাছ ও দামী গাছ বিক্রি করে নিজ পকেটে ঢুকিয়েছে এই প্রতারক। সূত্র জানায়, নিজেকে কখন আওয়ামীলীগের নেতা, কখনও জামায়েত নেতা, বর্তমান বিএনপি’র নেতা পরিচয় দিয়ে সুবিধা আদায় করছে।
চিরির বন্দর থানায় তাহার দুর্নীতির প্রকাশ পাওয়ায় গ্রামে লোকজন অতিষ্ঠ এবং ঐতিহ্যবাহি প্রতিষ্ঠানটি ধংসের দিকে নিয়ে গেছে। ঘিনা মোহাম্মদ শাহের বংশের লোকেরা মাসুদ বিল্লাহর বিপক্ষে ওয়াক্ফ প্রশাসনের তাহার দুর্নীতির বেহাল অবস্থা বিশাল ফিরিস্তি তুলে অভিযোগ দায়ের করিলে তদন্তের প্রমানিত হয়ে কথিত মোতাওয়াল্লী মাসুদ বিল্লাহকে অব্যাহতি দেয় এবং আত্মসাতের কারণ দর্শনো নোটিশ দেয়। পরবর্তীতে বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত যায়। মহা মান্য সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগ তার বিরুদ্ধে আদেশ দেয়। বর্তমান মোতাওয়াল্লী কমিটি ও ওয়ারিশগণ নতুন করে এস্টেটটি রক্ষার কাজে এগিয়ে যাচ্ছে। সন্ত্রাসী মাসুদ বিল্লাহ এর নামে কয়েক মামলা ও সাধারণ ডায়েরী আছে। সন্ত্রাসী মাসুদ বিল্লাহ ও তার চক্রান্তকারী বাহিনীরা ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকা সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েমের চেষ্টা করে চলছে এ কারণে এলাকাবাসী ও সাধারণ জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য সু-চতুর মাসুদ বিল্লাহ তার চক্রান্তকারী বাহিনী নিজেকে বি.এন.পি’র নেতা পরিচয় দিয়ে প্রশাসনকে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং দল ব্যবহার করে নিজের স্বার্থসিদ্ধের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এবিষয়ে প্রশাসনে হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।