অজ্ঞাত ফোন নম্বর থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিচয় দিয়ে শিবগঞ্জে থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও এক কনস্টেবলকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাদের বিরুেেদ্ধ চাঁদাবাজি চেষ্টার অভিযোগ করা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপারের মাধ্যমে রাজশাহী রেঞ্চের ডি আই জি বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন মৌচাক হোটেলের মালিক ও শিবগঞ্জ পৌরসভাধীণ ৪নং ওয়ার্ডের দৌলতপুর উপরটোলা গ্রামের মৃত সাফাউর রহমানের ছেলে দুুরুল হোদা। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ঘটনাটিকে পুলিশ অফিসারের সাথে অজ্ঞাত ব্যক্তি প্রতারণার চেষ্টা। দুরুল হোদার স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে গত ২১ অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে শিবঞ্জ বাজারের মনাকষা মোড়ে মৌচাক হোটেলে শিবগঞ্জ থানার এস আই শ্রী হরেন্দ্রনাথ,এ এস আই আক্কাশ আলি ও কনস্টেবল জামরুল ইসলাম( গাড়ী চালক) উপস্থিত হয়ে এস আই শ্রী হরেন্দ্রণাথ তার ফোন দৃরুল হোদার হাতে দিয়ে বলেন শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার কথা বলবেন।
তার কথা মোতাবেক দুরুল হোদা মোবাইল ফোন নিয়ে কথা বললে কথিত উপজেলা নির্বাহী অফিসার দুরুল হোদাকে বলেন তার হোটেলে সেনাবাহিনীর দল রেড করবে বলে তাকে জানিয়ে তার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। কিন্তু দুরুল হোদা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে স্থানীয় বিকাশ থেকে দ্রæত তিন টাকা দেয়ার জন্য হুমকি দেয়। ঘটনাটি দুরুলের কাাছে সন্দেহজনক মনে হলে ফোন কেটে দেন। পরে কথিত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ০১৭০৯৩৬৯৪৭৭ নম্বরে হতে দুরুলের ব্যবহারিত ০১৭১২৬৮৫১৪৩ নম্বরে ফোন দিয়ে তার কাছে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে বিভিন্ন ধরনের হুমকী দেয়। অভিযোগে তিনি আরো বলেন যে ওই তিন জন কথিত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অজুহাত দেখিয়ে তিন লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করেছে। শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়া জানান এটি ্ এক প্রতারকের কান্ড। এস আই হরেন্দ্রনাথ বুঝতে না পেরে নম্বরটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বলে হোটেল মালিকের সাথে কথা বলাতে গিয়ে তিনি ষড়যন্ত্রের জালে পড়ে। এটি নিয়ে হোটেল মালিকের সাথে বসে সমাধান করা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার মো: রেজউল করিম জানান এটি পুলিশের বিরুদ্ধে একটি ষড়‘যন্ত্র । আসলে অজ্ঞাত একটি ফোন নম্বর থেকে হরেন্দ্রণাথকে ফোন দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পরিচয় দিয়ে কিছু খাবারের প্যাকেট প্রয়োজন বলে হোটেল মালিকে কথা বলতে চান। সে মোতাবেক এস আই শ্রী হরেন্দ্রনাথ মৌচাক হোটলে গিয়ে মালিক দুরুল হোদাকে তার ফোনটি দিলে ওপর দিকে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে বিভিন্ন ধরনের হুমকী দেয়। পরে এটি নিয়ে গত ২১ অক্টোবর রাতেই হোটেল মালিক দুরুল হোদার সাথে বসে ভুল বুঝাবুঝির অবসান হয়েছে। তার পরে অন্য এক পুলিশ অফিসারের সাথে হোটেল মালিক দুরুল হোদার কথা কাটা কাটি হলে তার জের ধরেই এ অভিযোগ। তার জের এ ঘটনা। তিনি আরো বলেন এস আই হরেন্দ্রনাথ হলো এক সহজ সরল ব্যক্তি।তবে অজ্ঞাত নম্বরের ব্যক্তিকে সনাক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।