চলতি বন্যা মৌসুমে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার উজান হতে পদ্মা নদীতে বন্যা হওয়ার কারণে পদ্মা নদীর ভাঙ্গন কবলিত বৃহত্তর দিয়াড় এলাকায় পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে পল্লী বিদ্যুতের একটি খাম্বা পড়ে গেছে।ফলে ১০দিন যাবত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ওই এলাকা। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কারণে বৃহত্তর এলাকার প্রায় দেড় হাজার পরিবারের প্রায় সাত হাজার মানুষ পড়েছে চরম ভোগান্তিতে।বিদ্যুতের খাঁম্বাটি নদীতে পড়েছে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের বাবুপুর-সাত্তার মোড় এলাকায় পদ্মা নদীতে। ঘটনাটি কানসাট পল্লী বিদ্যুৎ অফিসকে জানানোর পরও কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।পাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক জানান, ১০ দিন আগে ভরা বন্যার সময় পাঁকা ইউনিয়নের সাত্তার মোড়ে পদ্মা নদীর তীরের সাত্তার মোড়ে একটি খাম্বা নদীতে পড়ে যায়। তখন থেকেই এলাকাবাসী বিদ্যুৎ থেকে বঞ্জিত আছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছে প্রায় সাত হাজার মানুষ। গরমে মানুষ ঘরে টিকে থাকতে পারে না। ছাত্ররা লেখাপড়া করতে পারে না। বিভিন্ন ধরনের কল কারখানা বন্ধ হয়ে আছে। মসজিদে মাইকে আজান দিতে না পারায় মুসল্লিরা পড়েছে বিপাকে।তাছাড়া আধুনিক যুগে ঘরে ঘরে ফ্রিজ আছে এবং ফ্রিজে নানা ধররনের পণ্য রাখা আছে যা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি কানসাট পল্লী বিদ্যুৎ অফিসকে জানালেও কোনা প্রতিকার হয়নি।
এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও পাঁকা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন বলেন দু:খ জনক হলেও সত্য যে বৃহত্তর দিয়ার এলাকার বিভিন্ন পেশার মানুষ ১০দিন যাবত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে নানা ধরনের সমস্যায় জর্জরিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগ কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেন নাই। তিনি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন। চর হাসানপুর ও লক্ষীপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনিমুল হক ও সহকারী শিক্ষক আব্দুল বারী বলেন, এমনেিত পদ্মার ভাঙ্গন এলাকা হিসাবে পরিচিত পাঁকা ইউনিয়নের বিভিন্ন কারণে শিক্ষার্থীরা ঠিকমত লেখাপড়া করতে পারেনি। তারপর কাটা ঘায়ে নুনের ছিঁটানীর মত ১০দিন যাবত প্রায় দেড় হাজার পরিবারের সাত হাজার মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। তারমধ্যে কয়েকশ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করতে পারছে না। আমরা দ্রুত বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর সহ প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. ছানোয়ার হোসেন বলেন,পদ্মা নদীতে বন্যায় তীব্র স্রোতের কারণে একটি বিদ্যুতের খাম্বা পানিতে পড়ে যাওয়ায় ওই এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছে। কিন্তু বন্যার পানি পুরাপুরি না কমলে খাম্বাটি পুনঃস্থাপন করা যাচ্ছে না। তবে নদী থেকে বন্যার পানি কমলেই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে সমাধান করা হবে।