চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তের ওপারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আব্দুল্লাহ (৪০) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত আব্দুল্লার লাম ফেরত দিয়েছে বি এস এফ। বুধবার বিকাল ছয়টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার বাংলাদেশের জোহরপুর টেক বিওপির সীমান্ত পিলার নং ২৩/৭এস এলাকায় ও ভারতের পিরোজপুর বি এস এফের উপস্থিতিতে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হয়। বিজিবির ৫৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো: মনিরুউজ্জামানসহ বিজিবির কর্মকর্তাগণ ও শিবগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম ও ভারতের বি এস এফের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে উভয়ের মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সন্ধ্যা ছয় টার দিকে আব্দুল্লাহর আত্মীয়দের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। যদিও দুপুর ১২টার দিকেই পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশ ফেরত দেয়ার কথা ছিল এবং সে মোতাবেক বাংলাদেশের বিজিবির কর্তৃপক্ষ ও পুলিম টিম সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু ভারতের বি এস এফ দেরী করায় লাশ হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় দেরী হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। হাত হস্তান্তর প্রকিয়ার ব্যাপার শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সাজ্জাদ হোসেন নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য যে গত রবিবার গভীর রাতে মাদক ব্যবসায়ী শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের দক্ষিণপাকা নিপিাড়া গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে আব্দুল্লাহ (৩০)ভারত থেকে মাদক সহ ভারতের চাঁদনীচক বিএস এফ ক্যাম্প এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বি এস এফ সদস্যরা গুলি করলে ঘটনা স্থলেই আব্দুল্লাহ মারা যায়। এসময় আব্দুল্লাহর সাথে বাংলাদেশী আরো কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারী ছিল। তারা অক্ষত অবস্থায় পালিয়ে আসে এবং আব্দুল্লার মৃত সংবাদটি জানায় বলে স্থানীয়রা জানায়।স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল আলীম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরদিন সোমবার দুপুরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সুতি থানায় হস্তান্তর করেছে বিএসএফ সদস্যরা। ।
এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যমে আব্দুল্লাহর নিহত হওয়ার খবর প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বিএসএফের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বলা হয়, ভারতের মালদার চাঁদনিচক ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালায়। এতে মারা যান আব্দুল্লাহ। পরে বিএসএফ সদস্যরা মরদেহ সুতি থানায় হস্তান্তর করে। পরে সুতি থানা পুলিশ মরদেহটি জঙ্গিপুর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এতে আরো বলা হয়, ঘটনাস্থল থেকে ৬৮২ বোতল ফেনসিডিল, ৫০ কেজি চিনি, ৬ বান্ডিল বিড়ির পাতা ও একটি গবাদি পশু উদ্ধার করা হয়েছে।