জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সাবেক খতিব অধ্যাপক মাওলানা সালাহউদ্দিনের তৃতীয় জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার বাদ মাগরিব সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে রাজধানী মিরপুরের পূর্ব মনিপুর এলাকার বাইতুর রহিম মসজিদ কমপ্লেক্সে (বাবা হুজুর মসজিদ) কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা ও বাদ আসর দ্বিতীয় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয় ঝিগাতলা জামে মসজিদে।
বায়তুল মোকাররমে নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমান। জানাজায় সর্বস্তরের মুসল্লিদের সঙ্গে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিষ্টার ফজলে নূর তাপস, জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী ও সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিন্সিপাল মাওলানা জাফর সাদেক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি ড. মুশফিকুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্ণস এর সদস্য প্রিন্সিপাল ড. কফিল উদ্দিন সালেহী, বোর্ডের সাবেক সদস্য ও বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আলহাজ মিছবাহুর রহমান চৌধুরী, বোর্ডের সাবেক সদস্য খন্দকার গোলাম মওলা নকশেবন্দী, মরহুম মাওলানা সালাহ উদ্দিনের ছেলে হুমায়ূন কবীর, মরহুমের ছোট ভাই মোসলেহ উদ্দিন মাষ্টার, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মহিউদ্দিন কাসেমী, স্থানীয় কাউন্সেলর আবুল, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ কাজী মাওলানা মো. আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে মাওলানা সালাহউদ্দিন ইন্তেকাল করেন। তিনি দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। তার হার্টে রিং পরানো হয়েছিল।
২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি বায়তুল মোকাররমের খতিব হিসেবে মাওলানা সালাহউদ্দিনকে নিয়োগ দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। তবে শারীরিক অসুস্থতা ও বার্ধক্যজনিত কারণে কয়েক বছর ধরে তিনি নামাজ পড়াতে পারেননি। তিনি ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, ঢাকার ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন কন্যা ও এক পুত্রসহ অসংখ্য ভক্ত, গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।