পিরোজপুর করিমুন্নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে নিয়োগের অভিযোগ করেছেন অভিবাবকরা। ১০১৪৬৫ নং ইনডেক্সধারী সহকারী প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামকে ম্যানেজিং কমিটির ০১/১৭ নং সভায় কোরাম বিহীন রেজুলেশনের মাধ্যমে নিয়োগ বিধি ও পরিপত্র বহির্ভুতভাবে নিয়োগ নিয়েছেন বলে অভিযোগ তাদের।
জানা যায়, ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসের ০৩ তারিখে ম্যানেজিং কমিটির সভায় ১৭/১৬ নং রেজুলেশনে জ্যোৎস্না রানী মন্ডলকে বাদ দিয়ে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে ৬ষ্ট তম সহকারী শিক্ষক (গণিত) শংকর দেউরীকে নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে সাচিবিক দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। যা এই রেজুলেশন ০৬-০৬-২০১১ ইং তারিখের স্মারক নং শিম/শা: ১১/০৩-০৯/২০১১১/২৫৬ পরিপত্রকে অনুসরণ করেনি। ১৯৬৩২১ নং ইনডেক্সধারী জ্যোৎস্না রানী মন্ডলের জন্ম তারিখ ২৭-০৪-১৯৫৯ খ্রি:, পক্ষান্তরে ২৯৪৫১৯ নং ইনডেক্সধারী শংকর দেউরীর জন্ম ১৫-০২-১৯৭৬ খ্রি.। ফলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বটি শংকর দেউরীকে দেওয়া বিধি বহির্ভুত হয়ছে। ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি ম্যানেজিং কমিটির ০১/১৭ নং সভায় কোরাম বিহীন রেজুলেশনের মাধ্যমে মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামকে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে বাছাই কমিটির সুপারিশ অনুমোদন করেন এবং এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানানো হয়। পরে ওই একই বছরের ১৮জানুয়ারি ম্যানেজিং কমিটির ০২/১৭ নং সভায় সহকারী প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামকে ১৭-০১-২০১৭ ইং তারিখে একই রেজুলেশনে পদত্যাগ ও যোগদান দেখানো হয়। ০২/১৭ নং সভায় জাহিদুল ইসলামকে কোরাম বিহীন রেজুলেশনের মাধ্যমে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় যা প্রবিধানমালা ২০০৯ এর ৩৫ ও ৩৬ ধারা অনুসরণ করেনি বা হয়নি। ফলে উক্ত গৃহীত সিদ্ধান্ত সমুহ বৈধ হয়নি।
নিয়োগ প্রক্রিয়া বিধি বহির্ভ‚ত হওয়ায় প্রবিধান মালা ২০০৯ এর ৩৬ (২) ধারা মোতাবেক গৃহীত সকল সিদ্ধান্ত বাতিল ও অকার্যকর হয়েছে। এ কারণে তিনি অবৈধভাবে করিমুন্নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত আছেন যা সম্পুর্ণ আইনের লঙ্ঘন ও নিয়োগ বহির্ভুত।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল হালিম হাওলাদার বলেন, মোঃ জাহিদুল ইসলাম সহকারী প্রধান শিক্ষক হওয়ার যে সমস্ত রেজুলেশন করেছেন সবগুলো কোরাম বিহীন। তিনি জৈষ্ঠতম শিক্ষক জ্যোৎস্না রানী মন্ডলকে বাদ দিয়ে সহকারী শিক্ষক শঙ্কর দেউরী কে সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন তা সম্পুর্ণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র পরিপন্থী।
এ ব্যাপারে সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, তৎকালীন সময় ম্যানেজিং কমিটি যা করেছে তা নিয়ম মেনেই করেছে এ ব্যাপারে নিয়মের কোন ব্যতয় হয়নি। পিরোজপুর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সঞ্জয় বালার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।