পিরোজপুরে ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে গাছ চাপায় ৩ জন ও পানিতে ডুবে ২ জন মারা গেছেন।
পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান নিহতের বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন, পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়নে মোঃ জাকির হোসেন (৫৫), তেলিখালী ইউনিয়নে মাজেদা বেগম ও ইন্দুরকানী উপজেলায় চানবরু বেগম (৭৫)।
এছাড়া ভান্ডারিয়া উপজেলায় পৌরসভা এলাকায় দিহান (৩) নামে এক শিশু ও পিরোজপুর সদর উপজেলার ঝাটকাঠি একলায় মোঃ হাসান নামের এক যুবক পানিতে ডুবে মারা গেছে। ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানির পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৩৬ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে একাধিক মানুষ।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, পিরোজপুর জেলার উপজেলা ৭ হাজার ৮৮৬ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলায় ১০ হাজার পুকুর ঘের জলাশয় প্লাবিত হয়েছে। এতে ১ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ভেসে গেছে। জেলা সাতটি উপজেলা ১ হাজার ৫০০ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। জেলায় ৫ হাজার ৮০০ ঘরবাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান আরও জানান, রেমালের কারণে প্রশাসনের প্রস্তুত করা ৫৬১ টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২২ হাজার ২৭৩ জন মানুষ আশ্রয় নেয়। তাদের খাবার সহ নানা সহযোগিতা করছে জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে ৫০ হাজার খাবার প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে।
নদী পাড়ের বেড়ি বাঁধের যে ক্ষতি হয়েছে তা মেরামতের জন্য অতিদ্রুত কাজ করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পিরোজপুরের বিভিন্ন উপজেলায় এখনো পানির নিচে প্লাবিত রয়েছে। তাই পানিবন্দি মানুষ ও ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হবে।