দীর্ঘদিন প্রচন্ড খরাই পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। তাই চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের উপজেলায় সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তীব্র গরমে খাবার পানি সংকটে চরম জনদূর্ভোগে পড়েছেন সেবা নিতে আসা রোগী ও রোগী স্বজনরা। রোগী ও স্বজনদেরঅভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের অবহেলায় হাসপাতালের ভিতরে অবস্থিত০৮/১০ টিউবওয়েল কয়েকটি দীর্ঘদিন যাবৎ অকেজো আছে, আর কয়েকটি দিয়ে পানি উঠছে না।, কর্তৃপক্ষের দাবি হাসপাতালে কোন পানি সংকটে নাই। তীব্র খরায় পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়াই কিছুটা সমস্যা হয়েছে। তবে তবে পানির সমস্যার সমাধানের জন্য হাসপাতালের দু’টি ওয়ার্ডে ফিল্ডার রয়েছে। সেই ফিল্ডারের পানি ব্যবহার করছেন রোগীরা। কিন্তু সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুরুষ ওয়ার্ডের ফিল্ডারটিও অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। এছাড়া মহিলা ওয়ার্ডের ফিল্ডারে পানি থাকলেও ময়লাযুক্ত পানি বের হওয়ায় রোগ ও রোগীর স্বজনরা পানি ব্যবহার করতে পারছেন।
শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কমিশনার একরামুল হক বলেন, শিবগঞ্জ হাসপাতালে তীব্র গরমে ব্যাপক পানি সংকট দেখা দিয়েছে। টিউবওয়েলগুলো নষ্ট ও ফিল্ডারগুলো অকেজো হয়ে আছে। রোগী ও রোগীর স্বজনদের দূর থেকে পানি আনায় ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সু-দৃষ্টি কামনা করছি যেনো দ্রুত পানির ব্যবস্থা করা হয়।
পুরুষ ওয়ার্ডে ৩দিন হতে ভর্তি থাকা রোগী শামসুর রহমান জানান, ফিল্ডার ঘুরিয়েও পানি পড়ে না। টিউবওয়েলগুলো নষ্ট। খাবার পানি আনতে হচ্ছে অনেক দূর থেকে। রাস্তার যানজটের মধ্যেও দূর থেকে পানি আনতে হয়, এতে ভোগান্তির শিকার হয়েছি।
এছাড়াও মিজানুর রহমান, আজিজুল ইসলাম, আব্দুল আল কাফি, জেসমিন, জাহাঙ্গীর, আনোয়ারা বেগম ও আঞ্জুয়ারা বেগম সহ অনেকে অভিযোগ করে খাবার পানি সংকটের কথা বলেন।
এব্যাপার শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সায়েরা খান পানি সংকটের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, টিউবওয়েলগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। তবে, পানি সরবরাহের জন্য পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডে ফিল্ডার রয়েছে। রোগী ও তার স্বজনরা ফিল্ডার থেকে পানি ব্যবহার করছেন। তিনি আরো জানান, টিউবওয়েলগুলো জন্য এমপি মহোদয়কে জানানো হয়েছে। তিনি এর সমাধানের দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন।