শিবালয়ে গভীর রাতে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলায় ৩ ইউপি সদস্য আহত হয়েছেন। রোববার (৭ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে শিবালয় উপজেলার আরুয়া ইউনিয়নের মান্ডাখোলা বাজার সংলগ্ন কুষ্টিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
হামলায় আরুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ জয়নাল আবেদীন (৪৫), ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো' সোহেল হোসেন (৪৫) ও ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ দেলোয়ার হোসেন (৫০) গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মানিকগঞ্জেের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
মেডিকেল সূত্র জানায়, জয়নাল আবেদীনের মাথায় গুরুতর জখম রয়েছে। ২২ টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। দেলোয়ারের ডান হাত ভেঙে গেছে। তার পায়ে আঘাতের নীলা ফুলা যখম রয়েছে। এছাড়া সোহেলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আহত জনপ্রতিনিধিরা জানান, শিবালয় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউর রহমান খান জানুর ভাতিজা আরুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোনায়েম মোস্তাকিম রহমান অনিক ও খন্দকার সুজনসহ ২০/২৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী আমাদের উপর গভীর রাতে এই অতর্কিত হামলা চালায়। তারা ফিল্মী স্টাইলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আমাদের ব্যবহৃত সাইকেল দু'টি নদীতে ফেলে দেয়।
এ বিষয়ে শিল্পপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহিম খান জাগো কণ্ঠকে জানান, আমি আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য শিবালয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছি। ইতোমধ্যে ব্যাপক জনসমর্থন পেয়েছি। এই জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার চির প্রতিদ্বন্দী শিবালয় উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান খান জানু ও তার পরিবারের সদস্যরা আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। হামলা ও হুমকি-ধমকি অব্যাহত রেখেছে।
তিনি বলেন, গত রোবার (৭ মার্চ) আরুয়া ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রামের ৭'শ অসহায় মানুষের মাঝে প্রতিবছরের ন্যায় শাড়ি, লুঙ্গি ও পাঞ্জাবিসহ ঈদ উপহার বিতরণ করি। এসময় ওই ইউনিয়নের মেম্বারগন সক্রিয় ভাবে উপস্থিত থেকে আমাকে সার্বিক সহযোগিতা করেন । এরই আক্রোশে ও প্রতিহিংসার বসবতী হয়ে জানুর ভাতিজা অনিক ও তার সহযোগী খন্দকার সুজনসহ ২০/২৫ জনের সশস্ত্র সহযোগী জনপ্রতিনিধিদের জানে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালায়।
তিনি বলেন, হামলার ঘটনা মোবাইল ফোনে শিবালয় থানার ওসিকে জানালে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন। এব্যাপারে ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
তিনি আরো বলেন, ইতিপূর্বেও তারা আমার লোকজনদের উপর হামলা করেছে। পুলিশকে জানিয়ও কোন প্রতিকার পাইনি। এঅবস্থা চলতে থাকলে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোনায়েম মোস্তাকিম রহমান অনিক বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। তবে লোক মুখে হামলার কথা শুনেছি।
তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগত ও পরিবারের সামাজিক মর্যাদা বিনষ্ট করার হীন উদ্দেশ্যে একটি চক্র নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
শিবালয় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুর রউফ সরকার বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।