মানিকগঞ্জে সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতায় মাত্র ১২০ টাকা খরচে পুলিশে চাকুরী পেলেন হতদরিদ্র পরিবারের ৩৫ তরুণ-তরুণী।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেল পাঁচটায় মানিকগঞ্জ পুলিশ লাইন্স মাঠে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৪ এর চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান (বিপিএম, পিপিএম বার)।
এসময় নিয়োগ বোর্ডের সদস্য টাঙ্গাইল সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সোহেল রানা ও মানিকগঞ্জ ডিএসবির ইয়াসীনা ফেরদৌস উপস্থিত ছিলেন। আরো উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার, ইমতিয়াজ মাহবুব ও নুরজাহান লাবনীসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার পর আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন ভবিষ্যৎ পুলিশ সদস্যরা। তারা গণমাধ্যমকে জানান, শুনেছি পুলিশে চাকরি নিতে তয়-তদবির ও টাকা পয়সা লাগে। এখন দেখছি উল্টো চিত্র! টাকা পয়সা অর্থাৎ ঘুষ দুর্নীতিতো দূরের কথা সম্পূর্ণ সচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। এজন্য মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মহোদয়কে অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। কারণ তিনি নিয়োগ প্রক্রিয়ার শুরুতে আমাদের সকলকে বলেছিলেন কেউ যেন গোপনে কোন মধ্যস্থতাকারীর সাথে কোন প্রকার অবৈধ লেনদেন না করি। তার এই সতর্কতামূলক নির্দেশনা আমাদের আগামীর পথচলায় পাথেয় হয়ে থাকবে।

বিনা পয়সায় চাকরি পেয়ে অনন্ত রাজবংশী বলেন, আমার বিশ্বাসই হচ্ছিল না মাত্র ১২০ টাকা খরচ করে পুলিশের চাকরি পাব।
নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান বলেন, মাত্র ১২০ টাকা ব্যাংকড্রাফ্ট
করে ১০৭৬ জন তরুণ তরুণী আবেদন করেন। শারীরিক সক্ষমতা ও কাগজপত্র যাচাই-বাছাইপূর্বক মাঠ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৫৬০জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৯৭ জন। এদের মধ্যে ৩০জন পুরুষ প্রার্থী ও ৫ জন নারী প্রার্থী চূড়ান্ত মনোনীত হয়।
তিনি বলেন, সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে এ নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মোট ৩৫ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে মনোনীত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ প্রার্থী ও ৫ জন নারী প্রার্থী রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, নিয়োগ প্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরা দেশ ও জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকবে বলে আমি আশা করি।