শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছে, ৭৫ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস সবচেয়ে বেশি বিকৃত করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ব্যাবহার করে। শিক্ষার ব্যাবস্থার মাধ্যমে। কারণ পরিকল্পনা ছিলো— বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পাকিস্তানমুখি করা,
গোঁড়া ও উগ্র মৌলবাদী বানানো। পাকিস্তানের সাথে পুণরায় ভাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করা। ইতিহাসকে বিকৃত করে বঙ্গবন্ধুকে মুছে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সহকর্মীদের মুছে দিয়ে এক ধরণের সামরিকীকরণ করার অপচেষ্টা ছিলো।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এক কথা বলেছেন মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এম.পি
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন অবস্থা যদি দেখি তাহলে মুজিবনগর সরকার ছিলো রাজনৈতিক সরকার। বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে যে সরকার গঠন করা হয়েছিলো, সেই সরকারের সকলেই রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ছিলেন, তরা জনযুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন। এ সব কিছু মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠা করার সকল অপচেষ্টা করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে যে কী পরিমাণ হেপোক্রেসি লুকিয়ে আছে তা আমরা দেখতে পাই।
মহিবুল হাসান চৌধুরী, এমপি বলেন, পবিত্র রমজান মাসে বিদ্যালয় খোলা থাকা নিয়ে অনেক ধরনের প্রচার-অপপ্রচার হয়েছে। যেহেতু এই বছর বিষয়টি এসেছে। আমরা আগামীতে চেষ্টা করবো বছরে ৫২টি শনিবার আছে। সেখানে যদি বিদ্যালয় কিছুটা খোলা রেখে রমজানে মাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা যায় সেক্ষেত্রে বিতর্ক সৃষ্টির অপপ্রয়াস যারা করছে তাদের অপ্রয়াস বন্ধ করতে পারে। সে লক্ষ্যে আমরা একটা পরিকল্পনা করবো। যাতে করে আদালতে গিয়ে মিথ্যা গুছিয়ে বিভ্রান্ত করে রায় নিয়ে আসা নায় যায়। সে ধরনের অপচেষ্টা কেউ যেন না করতে পারে, এটা নিয়ে রাস্তায় নেমে মানববন্ধন করতে না পারে। সংবেদনশীলতার জায়গায় অবশ্যই শ্রদ্ধাশীল। এ সকল বিষয় নিয়ে আলেম ওলামাদের সঙ্গেও আলোচনা করবো, তাদের একটা অবস্থান আছে এ বিষয়ে। আগামীতে শিক্ষা পরিবার সংবিধানের মূলনীতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠিত করবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি সুসম বাংলাদেশ সৃষ্টি করবো আমরা যেখানে পিছিয়ে পড়া মানুষ ও শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন না। দক্ষতা নির্ভর শিক্ষা বাস্তবায়ন করবো আমরা।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মাননীয় ক প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার এমপি, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।