শিরোনাম
  • ফের যে আসন থেকে নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে খালেদা জিয়ার আন্তর্জাতিক ফুটবলে যে সমস্যার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইসরায়েল কে এই নতুন মেসি-ইয়ামাল? ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে যা বললেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কাঠামোতে যে নতুন নির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা আলুর দাম নিয়ে যে দুঃসংবাদ শোনালেন বাণিজ্য উপদেষ্টা হাইকোর্টের রায়ের স্থগিতাদেশ নিয়ে যা জানালেন আইনজীবী শিশির মনির নির্বাচন নিয়ে নতুন যে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার সরকার নির্বাচন নিয়ে চাপ দিলে পদত্যাগ করবো: সিইসি শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
  • শিবগঞ্জে জাতীয় মহিলা সংস্থা দুর্নীতির আখড়া

    চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

    ২২ মার্চ, ২০২৪ ০৩:৩৮ অপরাহ্ন

    শিবগঞ্জে জাতীয় মহিলা সংস্থা দুর্নীতির আখড়া

    নিজস্ব বাড়িতে অফিস করে,প্রশিক্ষণার্থীদের ভর্তি,প্রশিক্ষণার্থীদের নিকট বিভিন্ন অজুহাতে  টাকা আদায়, ভুয়া প্রশিক্ষণার্থীর নাম দিয়ে টাকা উত্তোলন সহ নানা ধরনের অনিয়ম ও দূর্নীতির মধ্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা জাতীয় মহিলা সংস্থা। হরিলুট করা হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার বলেন সঠিক নিয়মে চলছে জাতীয় মহিলা সংস্থা।অনুসন্ধানে জানা গেছে সবচেয়ে বড় অনিয়ম-দূর্নীতি হয় সংস্থার বিভিন্ন ট্রেডের প্রশিক্ষণে। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে পরিচালিত এসব প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাতা দেয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু প্রশিক্ষণার্থীদের এ ভাতা ঠিকমতো না দিয়ে চলছে হরিলুট। 

    অভিযোগ উঠেছে, সংস্থার কর্মকর্তা ও কিছু দালালের সমন্বয়ে  কোন অনিয়মের মাধ্যমে  লাখ লাখ টাকা হরিলুট হচ্ছে।দীর্ঘ  ১১ বছর ধরে  সংস্থাটিতে অনিয়মই যেন অনিয়মই  যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। সংস্থাটি চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন যাবত  রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকার সুযোগে চলছে এ হরিলুট। আর এ হরিলুটের  মাধ্যমে গাড়ি, বাড়ি ও বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন সংস্থাটি সংশ্লিষ্টরা  বলে জানা গেছে। সংস্থার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিয়মানুযায়ী কোন সভা আহ্বান করা হয় না। সাম্প্রতিক কালে জাতীয় মহিলা সংস্থা কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যানের নিকট  উপজেলা শাখার এসব দুর্নীতি, অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত নারীরা। 

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত কয়েকজন অসহায় নারী জানান, অফিসের কর্মকর্তা রুবেল ও প্রশিক্ষক আলিফ,আফিয়া বেগম ইভা বেগম সহ আরো কয়েকজন কিছু দালারের সহযোগিতায় টাকার বিনিময়ে  প্রতিটি ট্রেডে প্রশিক্ষণার্থী ভর্তিতে  ৫০জনের মধ্যে প্রায় ১৫/২০জন তাদের ইচ্ছামত ভর্তি করে। উপস্থিতির খাতায় সম্পূর্ণ উপস্থিতি দেখিয়ে তাদের নামের  টাকা কৌশলে টাকা উত্তোলন করেন তারা।এ তাদের উপস্থিতি হাজিরা বহি কাউকে দেখতে দেয়া হয় না। অনুসন্ধানে জানা গেছে- প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে কারো কারো নিকট হতে অর্থের বিনিময়ে একাধিক ট্রেডে প্রশিক্ষণের সুযোগ দেয়া হয়। এছাড়া প্রতিটি ট্রেডের প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে নকশি কাঁথাসহ বিভিন্ন উপকরণের অযুহাতে বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ট্রেডে সদস্য প্রতি ১৭৫ এবং বাকী  চারটি ট্রেডে সদস্য প্রতি ৩৫০ টাকা করে আদায়  করা হয়। এমনকি একটি ট্রেডে ভর্তি প্রশিক্ষণার্থীকে অন্য ট্রেডে ভর্তি দেখিয়ে তার ভাতার টাকা তুলে পুরোটা হরিলুট  করে। এর পাশাপাশি ভর্তি বাতিলের ভয় দেখিয়ে প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে অর্ধেক বা তার বেশি টাকা নেয়া হয় তারা । 

    একাধিকবার প্রশিক্ষণার্থী পাওয়া নাম প্রকাশে একজন সদস্য জানান, সদস্যদের অফিসের অনিয়মের কোন তথ্য প্রকাশ না করার জন্য  বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখিয়ে অফিসের অনিয়ম ধামাচাপা দিয়ে রাখছে। এদিকে উপজেলা জাতীয় মহিলা সংস্থার তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্পের অফিসটি সংস্থাটির চেয়ারম্যান শিউলী বেগমের বাড়িতে অবস্থিত। উল্লেখ্য যে সংস্থাটি তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্পের মাধ্যমে পাঁচটি ট্রেডে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। ট্রেডগুলো হলো- ফ্যাশন ডিজাইন (৮০দিন), বিউটিফিকেশন (৮০দিন), ইন্টেরিয়র ডিজাইন এন্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট (৮০দিন), ক্যাটারিং (৮০দিন)ও বিজনেস ম্যানেজমেন্ট (৪০দিন)। বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ট্রেড ছাড়া বাকি চারটি ট্রেডের প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ শেষে প্রতিজনকে ১২ হাজার টাকা করে ভাতা দেয়া হয়। আর বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ট্রেডের প্রতিজন প্রশিক্ষণার্থীকে দেয়া হয় ছয় হাজার টাকা করে। 

    এ বিষয়ে সংস্থার উপজেলা শাখার চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শিউলী বেগম অনিয়ম ও দূনীর্তির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, অসহায় নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে অনেক কষ্টে প্রশিক্ষণগুলো দেয়া হচ্ছে।আমার নিজস্ব বাড়িতে অফিস হলে সংস্থার পক্ষ থেকে  যথারীতি নিয়ম অনুযায়ী আটটি কক্ষের জন্য মাসিক  ২০ হাজার ভাড়া  দেয়া হয়। কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারী অতিরিক্ত কোন টাকা আদায় করে না। ভর্তিতে কোন অনিয়ম নেই। তারপরও সংস্থায় নিয়োজিত সাত জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী ও দালালদের ব্যাপারটি আমি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।  
     




    সারাদেশ - এর আরো খবর

    যে কারণে ৭ দিন বন্ধ সোনাহাট স্থলবন্দর!

    যে কারণে ৭ দিন বন্ধ সোনাহাট স্থলবন্দর!

    ২২ মার্চ, ২০২৪ ০৩:৩৮ অপরাহ্ন