দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, জনগণ ভোট দেয় সেবা পাওয়ার জন্য, উন্নত জীবন যাপনের জন্য, সুখে শান্তিতে থাকার জন্য। শেখ হাসিনা সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সফল হয়েছেন। মানুষ উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছে।কেউ টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে না। খাদ্যের অভাব নাই। রাস্তাঘাট, হাট বাজার, শিল্প কারখানা, অফিস আদালত, ব্রিজ কালভার্ট, রেল-মেট্রো রেল, টানেলসহ যাতায়াত ব্যবস্থার ঈর্ষণীয় উন্নতি হয়েছে। শহর ও গ্রামীণ অবকাঠামো ঢেলে সাজানো হয়েছে। শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। করোনা মহামারী পরিকল্পিতভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। জনগণের নিরাপদ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিনামূল্যে ৩৬ কোটি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। দেশের মানুষ আজ সুখে শান্তিতে বসবাস করছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের পর এবার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সরকারের ধারাবাহিকতাও অপরিহার্য। দেশের মানুষ আজ তা বুঝতে পেরেছে। তাই আমার বিশ্বাস এদেশের জনগন আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দিবে। বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকা মার্কার বিজয় হবে। শেখ হাসিনা আবারো ক্ষমতায় আসবে, ইনশাল্লাহ।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ২৫০ শয্যার মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতাল এবং ৫০০ শয্যার কর্ণেল মালেক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমার বাবা কর্নেল মালেক উন্নত চিকিৎসার জন্য যথাসময় ঢাকা যেতে পারেনি। বিনা চিকিৎসায় পথিমধ্যে মারা গেছেন। তার মত মানিকগঞ্জের অনেক ধনী গরিব ও অসহায় রোগী চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন! শেখ হাসিনা সেই দুরবস্থা নিরসন করে আমার বাবার নামে মানিকগঞ্জে মেডিকেল কলেজ স্থাপন করেছে। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ আড়াইশো শয্যার জেলা হাসপাতাল নির্মাণ করেছে।নার্সেস ট্রেনিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছে। এ অঞ্চলের মানুষ এখন আর বিনা চিকিৎসায় মারা যায় না। এই হাসপাতালে সব ধরনের জটিল রোগের উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এখানে ৪/৫ হাজার টাকার স্থলে মাত্র ৪'শ টাকায় ডায়ালসিস সুবিধা পাচ্ছেন দরিদ্র রোগীরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদৌলতে কম খরচে সব ধরনের অত্যাধুনিক উন্নত সেবা পাচ্ছেন এই অঞ্চলের মানুষ।
তিনি বলেন, শুধু মানিকগঞ্জ নয় শেখ হাসিনার বদৌলতে দেশের সব শ্রেণী পেশার মানুষ উন্নত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। চিকিৎসা খাতে আনা হয়েছে আমূল পরিবর্তন। ভবিষ্যতে চিকিৎসা খাতে নতুন মাত্রা যোগ করার পরিকল্পনা রয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের।
তিনি আরো বলেন, শিশু মৃত্যুহার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে দেশের ৭২টি হাসপাতালে স্কেনো স্থাপন করা হয়েছে। ফলে শিশু মৃত্যুহার ২১শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। যা সাসটেনেবল ডেভলপমেন্ট গোল (এসডিজি) অর্জনে ভূমিকা লাগবে।
পরিদর্শকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসাধীন রোগীদের খোঁজখবর নেন এবং চিকিৎসা সেবা আরো জোরদার করার নির্দেশ প্রদান করেন। এসময় সিভিল সার্জন ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. জাকির হোসেন, জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.বাহাউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন ।