মানিকগঞ্জের ঘিওরে দুই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ছয় টার সময় দুই নারীকে সঙ্গবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করে। ঘটনার রাতেই পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ৭ ধর্ষণকারীকে গ্রেফতার করেছে।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, দৌলতপুর থেকে কাজ সেরে একটি অজ্ঞাতনামা অটো রিক্সা যোগে ছদ্মনাম গোলাপি ও তার চাচাতো বোন পাপিয়া সন্ধ্যায় ঘিওরের পয়লা মোর নামক স্থানে উপস্থিত হলে চালক তাদেরকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। পরে তারা দুজন পায়ে হেঁটে কিছুদূর এগিয়ে আসলে মো. হৃদয় খান (২৩), শহীদ রানা (২৫), শাহ আলম (২৬), রনি মিয়া (২০), ফয়সাল ব্যাপারী (২০), তামিম হোসেন (২৬), সাকিব হোসেন (৩০), হাসান আলী (৪৫), তাদের পথ গতিরোধ করে। পরে তাদের দুজনের কাছে মোবাইল নাম্বার চায়, তারা মোবাইল নাম্বার দিতে অস্বীকার করলে, হৃদয় খান পাপিয়াকে (ছদ্মনাম) থাপ্পড় মেরে ফেলে দেয়, সাথে সাথে পাপিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এরপর যখন সে দাঁড়াতে যায় তখন হৃদয় খানের সাথে থাকা অন্যান্য সহযোগীরা তার সাথে থাকা মোবাইল ফোন, নগদ অর্থ সহ স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। এবং জোরপূর্বক ভাবে তাদেরকে রাস্তার পাশের ভুট্টা খেতে নিয়ে গিয়ে ৭ জনসহ আরও ৩-৪ জন মিলে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গণধর্ষণ করে। ধর্ষণের শিকার হওয়া দুই নারীর বাড়ী দৌলতপুর উপজেলার খলসি ইউনিয়নে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার সকালে গোলাপি বেগম (ছদ্মনাম) বাদী হয়ে ঘিওর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ।
এ বিষয়ে ঘিওর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আমিনুর রহমান বলেন, আমি ধর্ষণের ঘটনাটি জানার পরপরই ওসি তদন্ত জাকির হোসেনকে দায়িত্ব দিলে তিনি রাতেই সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সারাশি অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযুক্ত ৭ আসামিকে গ্রেফতার করেছেন। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণসহ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।