শিবগঞ্জে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ আইন অমান্য করে চোরাইভাবে পদ্মায় মাছ ধরা বন্ধ করতে শিবগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অফিসের উদ্যোগে গত ১২ অক্টোবর হতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শিবগঞ্জ মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে শিবগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) জুবায়ের হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচটি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। দুইজন কে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে এবং কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়েছে। অভিযান চালানো হয়েছে ১৭টি এবং ৩১মাছঘাট ও ১৬টি মাছের আড়ৎ পরিদর্শন করা হয়েছে। অভিযানে ১৩৩ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করে বিভিন্ন এতিম খানায় দান করা হয়েছে।অবৈধভাবে ব্যবহারিত ১২লাখ ৯ হাজার ৭৫০ টাকা মূল্যের সাত হাজার ৫-পাঁচ শ মিটার জাল পুড়িযে ধ্বংস করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অফিসার আবু বক্কর সিদ্দিক জানান আমাদের অভিযান আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। আমাদের অভিযানগুলি সফল হয়েছে। নিষিদ্ধ সময়ের মধ্যে এবার পদ্মায় ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ হয়েছে। তবে এবার খুব কম চোরাইভাবে ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে।আশা করি অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পদ্মায় ইলিশ মাছ উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরো জানান, শিবগঞ্জ পৌরসভা, মনাকষা, দূর্লভপুর,পাঁকা উজিরপুর ইউনিয়নে মোট ১৪৭১ জন জেলে পদ্মা নদীতে মাছ ধরে আয় করে জীবিকা নির্বাহ করে। ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধকালে আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের মধ্যে একেবারে অসহায় এক হাজার জেলেকে গত ১৬অক্টোব প্রতি জেলেকে ২৫ কেজি করে চাউল দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে শিবগঞ্জ পৌরসভার ৬৩ জনের মধ্যে ৩০ জন, উজিরপুর ইউনিয়নের ৫৩জনের মধ্যে ৫৩জনকেই,পাঁকা ইউনিয়নে ৬৬৭জনের মধ্যে ৪১৭জনকে, মনাকষা ইউনিয়নের ২২৫জনের মধ্যে ১৫০জন ও দূর্লভপুর ইউনিয়নের ৪৬৩জনের মধ্যে ৩৫০জন।