রাজউকের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে চাকরি শুরু নজরুল ইসলাম সরকারের। শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সার্টিফিকেট দিয়ে পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি লাভ করেন তিনি। সার্টিফিকেট জাল প্রমাণিত হওয়ায় চাকরিচ্যুতও হন তিনি। তবে এ সময়ের মধ্যে নানা দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যাপক অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন নজরুল। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) লিখিত অভিযোগ দিয়ে তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
গত ২২ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় কর্তৃপক্ষ বরাবর সচেতন নিরীহ এলাকাবাসীর পক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত দেয়া আবেদনে বলা হয়, নজরুল ইসলাম সরকার, পিতা- ওসমান আলী, সাং- দক্ষিন কায়েমপুর, তল্লা, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ রাজউকের একজন সাবেক কর্মচারী। নজরুল ইসলাম সরকার রাজউক এর ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে চাকুরী জীবন শুরু করেন। চাকরিরত অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে এইচএসসি ও বিএ পাস (স্নাতক) জাল সার্টিফিকেট জমা দিয়ে ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ২০০৭ সালে তার চাকরিতে প্রদর্শিত সার্টিফিকেট জাল প্রমানিত হওয়ায় বহিস্কৃত হন।
রাজউকের একজন কর্মচারী হয়েও বিশাল অবৈধ অর্থের মালিক তিনি। তার রয়েছে দক্ষিণ কায়েমপুর এলাকায় ৫ শতাংশ ভূমির উপর একটি পাঁচতলা ভবন সহ তিনটি টিনশেড় বাড়ী, ৪ শতাংশ বাড়ী তৈরীর একটি প্লট এবং ঢাকায় রয়েছে সাং- ৮/এ ধানমন্ডি আ/এ, পোঃ ঝিগাতলা টি.এস ও ১২০৯, ধানমন্ডি, ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন, ৬ কাঠা সম্পত্তির উপর একটি বিলাস বহুল বিল্ডিং। এছাড়া গ্রামের বাড়ী সাং- এখলাছপুর/খন্দকার কান্দি, থানা- মতলব উত্তর, জেলা- চাঁদপুরে তৈরি করেছেন বিলাস বহুল ভবন ও গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদ। তার আরও রয়েছে কয়েকটি বিলাস বহুল গাড়ী। অবৈধ অর্থ সম্পদ অর্জনের ফলে এলাকায় তার রয়েছে এক বিশাল বাহিনী।
এলাকাবাসীর প্রশ্ন রাজউকের একজন কর্মচারী এতো বিত্ত বৈভবের মালিক কি করে হয়?
এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দুদক কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী।