বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কার্যালয় পল্টনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে ব্যাপক শো ডাউন করেছে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি। সমাবেশে যাবার পথে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন এক কর্মী। সমাবেশ শেষে ওই কর্মীকে ছাড়াতে গিয়ে আটক হয়েছে আরেক বিএনপি নেতা।
দলীয় সূত্র জানায়, বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি'র সভাপতি আফরোজা খান রিতা এবং বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবিরের নেতৃত্বে বিশাল মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগদান করেন। সমাবেশে যাওয়ার পথে সিংগাইর থানার চন্দহর ইউনিয়ন যুবদল সদস্য দুলু সর্দারের পুত্র মনির হোসেন মন্টুকে আটক করে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। সমাবেশ শেষে চান্দহর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক তানভীর সর্দার আটক যুবদল কর্মীকে ছাড়াতে থানায় গেলে তাকেও আটক করে পুলিশ। জেলা বিএনপি সভাপতি আফরোজা খান রিতা আইনি প্রক্রিয়ায় আটককৃতদের মুক্ত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলে দলীয় মুখপাত্র মো: রেজাউল করিম জাগো কণ্ঠকে বলেন।
জিন্নাহ কবির বলেন, মামলা হামলা আর গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে আন্দোলন দামানো যাবে না। বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে চলমান সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন এখন গণ আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। সারা দেশ থেকে আন্দোলনকারীরা সমাবেশে অংশগ্রহণ করেছেন। মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি আজকের মত প্রতিটা কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে আন্দোলন সংগ্রামকে বেগবান করেছে।
আফরোজা খান রিতা বলেন, মাদার অব ডেমোক্রেসি বেগম খালেদা জিয়া'র অন্যায় বন্দিত্ব থেকে মুক্তি, অবৈধ ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পদত্যাগ, জাতীয় সংসদ বিলুপ্তি ও দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক দফা দাবিতে নয়াপল্টনস্থ বিএনপি'র জনসমাবেশে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি'র হাজার হাজার নেতাকর্মী স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেছেন।
সমাবেশে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে রিতা আরো বলেন, দাবি বাস্তবায় না হওয়া পর্যন্ত মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি'র হাজার হাজার নেতাকর্মী আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে থাকবে। স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেনা। আন্দোলন যত কঠোরই হোক, যতই হামলা মামলা নির্যাতন চালানো হোক না কেন জেলা বিএনপি সকল অন্যায় মোকাবিলায় সব সময় প্রস্তুত রয়েছে।
যুবদল কর্মী মন্টু ও বিএনপি নেতা তানভীরের আটকের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এস এ জিন্নাহ কবির ও আফরোজা খান রিতা।