সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ৭ বছর ধরে বেউথা-আন্ধার মানিক সড়কটির বেহাল দশা!খানা খন্দ ও গর্তে ভরা এই সড়কে যানবাহন চলাচলের অনুপোযোগী হলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বাস ট্রাক প্রাইভেট কার পিকআপভ্যান অটোরিকশা সিএনজি মোটরসাইকেল সহ নানা যানবাহন। শুধু যানবহন নয় পায়ে হেঁটে চলাচলও মুশকিল! চরম জনদুর্ভোগ সত্বেও বছরের পর বছর বেহাল অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয়রা আক্ষেপ করে বলছেন অবহেলিতল সড়ক তুমি কার?
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এলজিইডি ও সওজ অধিদপ্তরের ঠেলাঠেলিতে ৭ বছর ধরে সড়কটি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে।
জানাযায়, পৌরসভার অধীনে না থাকা সত্ত্বেও মানুষের ভোগান্তি বিবেচনা করে এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সংস্কারের জন্য ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৩৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। সঠিকভাবে কাজ না হওয়ায় সড়কটি আবারও খানা-খন্দে পরিণত হয়েছে।সড়কটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে রাস্তাটি চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। চরম ভোগান্তিতে চলাচলকারী হাজারো হচ্ছে অন্য জনগন।
স্থানীয়রা জানান, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা, হরিরামপুর, ঘিওর, শিবালয়, দৌলতপুরসহ প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষের চলাচল এই সড়ক দিয়ে।
আন্ধারমানিক এলাকার বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম আক্কাস জানান, এখন আর জনপ্রতিনিধি হতে জনগণ প্রয়োজন হয় না। তাই কোন জনপ্রতিনিধির আন্দারমানিক জয়নগর সড়ক চোখে পড়ে না। এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার মানুষের যাতায়াত। জেলার সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই এলাকায়। ছাত্রছাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়তই স্কুলে যাচ্ছে। এই রাস্তায় প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটছেই। সামান্য বৃষ্টিতে সড়কে হাটু পানি খানাখন্দ ভরে যায়। আমাদের পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের জনগণ খুব ভোগান্তিতে আছে সড়কের কারণে।
স্থানীয় আন্ধারমানিক গ্রামের বাসিন্দা ছামাদ বলেন, সড়কে বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে। বাস-ট্রাক পিকআপ চলাচল করলে ঝাঁকিতে ঘর বাড়ি কেপে উঠে। ঝাঁকিতে রাতে ঘুমাতে পারি না। এই সড়ক দিয়ে চলাচলে বৃদ্ধ মানুষ, শিশু, রোগী ও গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। কালীগঙ্গা নদীর তীর থেকে বড় বড় ট্রাকে করে বালু-মাটি পরিবহনের কারণে সড়কের খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। শুকনো মৌসুমে সড়কে প্রচুর ধুলাবালি থাকে আর বর্ষা মৌসুম এলেই সড়কে হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে যায়। এতে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের বেউথা থেকে আন্ধারমানিক পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকা বেহাল অবস্থা কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বেউথা তিন রাস্তার মোড় থেকে আন্ধারমানিক তিন রাস্তার মোড় পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন স্থানে ইটের সলিং করা হলেও ইট উঠে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। চলাচল করছে ছোট বড় অসংখ্য যানবাহন। সড়কে প্রচুর কাঁদা পানি জমে রয়েছে। এতে অতিষ্ঠ পথচারীসহ যানবাহন চালকেরা।
মানিকগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী বেল্লাল হোসেন বলেন, আন্দারমানিক জয়নগর সড়ক এলজিইডি দেখভাল করে। ইতিমধ্যে ওই সড়ক টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে এলজিইডি।
মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, ওই সড়ক আমাদের আওতাধীন নয়। তাই এবিষয়ে আমি কিছু বলতে পারি না।
মানিকগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফয়জুল হক বলেন, ওই সড়কটি উন্নয়ন কাজের জন্য ইতিমধ্যে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। প্রধান কার্যালয়ের চূড়ান্ত অনুমতি সাপেক্ষে ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে। জনস্বার্থে খুব শীগ্রই ওই সড়কের কাজ শুরু হবে।