শিবগঞ্জে প্রাকৃতিক দূর্যোগ সহনীয় ও অধিক ফলন সম্পূর্ণ নতুন জাতের কেনাফ সি ৯৫ জাতের পাট চাষ করে সফল হতে যাচ্ছেন শিবগঞ্জ পৌরসভাধীন পিঠালী তোলা গ্রামের মৃত আবুল কাসেমের ছেলে কৃষক জুলফিকার আলি। শিবগঞ্জে এ জাতের পাট প্রথম চাষ করেছেন তিনি। সরজমিনে পাটের জমিতে কথা হয় জুলফিকার আলি সাথে।
তিনি জানান, শিবগঞ্জ পৌরসভার কৃষি উপসহকারী অফিসার গোলাম আজম কনকের পরামর্শ অনুসারে এ বছর ৪২শতক জমিতে কেনাস সি ৯৫ জাতের পাট চাষ করেছি। এ জাতের পাট চাষে কোন সেচ লাগেনি ।কোন কীটনাশক লাগেনি। দীর্ঘদিন যাবত খরায় কোন প্রভাব পড়েনি। এমনকি দীর্ঘদিন পানিতে ডুবে থেকে কোন ক্ষতি হয়নি। শুধু মাঝে মাঝে আগাছা পরিস্কার করতে হয়েছে। তাছাড়া সাধারণ পাট গাছের চেয়ে কেনাফ সি ৯৫ জাতের পাট গাছ বেশী মোটা ও লম্বা। সাধারণ পাটের চেয়ে ফলন প্রায় বিঘাতে দুই/তিন মণ বেশী হওেয়ার সম্ভবনা রয়েছে। শুধু জুলফিকার আলি নয়, শুধু পৌরসভার ১০জনসহ উপজেলায় মোট ২০জন কৃষক ৩০বিঘা জমিতে প্রথমবারের মত এ জাতের পাট চাষ করে সফল হতে যাচ্ছেন। উপসহকারী কৃষি অফিসার গোলাম আজম জানান,রংপুর আঞ্চলিক পাট ইনস্টিটিউট হতে বীজ সংগ্রহ করে প্রাথমিকভাবে এ জাতের পাট চাষে সফল শিবগঞ্জে প্রায় ২০জন কৃষককে উৎসাহিত করা হয়েছে। আমি আমার পৌরসভাধীন এ জাতের পাট চাষ কারী ১০জন কৃষকের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখছি। পাটের জমিতে গিয়ে পর্যবেক্ষন করছি। এ পর্যন্ত ফলাফল খুব ভাল। আগামী বছরে এ জাতের পাট চাষীর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে ।
শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শরিফুল ইসলাম বলেন, রংপুর আঞ্চলিক পাট ইনস্টিটিউট হতে অতি খরা, অতি বৃষ্টি ও নানা ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগ সহনীয় কেনাফ সি ৯৫ পাট শিবগঞ্জের প্রাথমিকভাবে ২০জন কৃষষ চাষ করে সফল হয়েছেন।পাটের জমিগুলি আমি পরিদর্শন করেছি। এপর্যন্ত ফলাফল খুব ভাল। পানিতে দুই মাস ডুবে থাকলেও কোন ক্ষতি হয় না। তাছাড়া উৎপাদন খরচ দেশীয় পাটের চেয়ে বিঘা প্রতি পাঁচ হাজার টাকা কম। দেখতে দেশী পাটের চেয়ে সাদা উজ্জল ও শক্ত। কৃষককে উৎসাহিত করতে উপসহকারী কৃষি অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছি। আগামী বছরগুলোতে এ জাতের পাট চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরো বলেন, এ জাতের পাট বিক্রী করা নিয়ে আশঙ্কা করছেন তা দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের চেষ্টা চলছে। রংপুর আঞ্চলিক পাট ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ওহেদুজ্জামান জানান, এ জাতের পাট চাষে কৃষকদের সফল হওয়ার সম্ভবনা খুব বেশী। কেনাফ সি ৯৫ জাতের পাট দেশীয় পাটের চেয়ে কৃষকরা ফলন ও দাম বেশী পাবে । বস্তায় ভরা মাটি দিয়ে পাট জাগ দিতে হবে।