করোনাভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতিতেও দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হচ্ছে না। বরং বর্তমানে যেভাবে সীমিত পরিসরে পাঠদান চলছে সেভাবেই চলবে। তবে করোনা পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং এক সপ্তাহ পর আরেকটি মিটিং করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রোববার রাতে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রাত সাড়ে নয়টায় ভার্চুয়াল এই বৈঠক শুরু হয়। এতে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সদস্যরা ছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, রাতের বৈঠকে মূলত, তিনটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাহলো, বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে প্রক্রিয়ায় পাঠদান চলছে তা অব্যাহত থাকবে। অর্থাৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হচ্ছে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষামন্ত্রণালয় যৌথভাবে ১২ বছরের ওপরের শিক্ষার্থীদের টিকাদান নিশ্চিত করার জন্য কাজ করবে। এছাড়া এক সপ্তাহ পর জাতীয় পরামর্শক কমিটি আরেকবার মিটিংয়ে বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। সেপর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হবে।
বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের জানান, রাতের মিটিংয়ের বিষয়ে সোমবার সকাল ১১টায় মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে রোববার দুপুরে এক অনুষ্ঠানে কোন ধরণের গুজবে কান না দেওয়ার আহবান জানান শিক্ষামন্ত্রী। অমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ বাড়লেও শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু রাখতে ‘সর্বাত্মক’ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানান তিনি।
অন্যদিকে ১৫ জানুয়ারির পর টিকা ছাড়া ১২-১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের স্কুলে না যেতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।