শিবগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওয়াশব্লক/টয়লেট নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁপাইনবাবঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের ২২৩নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সরজমিনে গিয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফের সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তিনি জানান, আমার বিদ্যালয়ে ওয়াশ ব্লক/ টয়লেট নির্মা নের কাজ চললেও ঠিকাদার ও জনস্বাস্থ্যকৌশলী আমাকে কিছু জানাননি। তারা আমাকে ড্রয়িং ও সিডিউলের কোন কপি দেননি।
তিনি আরো বলেন, কাজ হচ্ছে নিম্নমানের ইট,খুয়া, সিমেন্ট ও রড দিয়ে। আমি এর প্রতিবাদ করলে তারা বলছেন কাজ র্ঠিকমত হচ্ছে।একই কথা বললেন ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জিয়াউর রহমান। সূত্র মতে এ অর্থ বছরে ২২৩ নং মোবারকপুর উপরটোলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি ওয়াশবøক /টয়লেট নির্মানে জনস্বাস্থ্য দপ্তর থেকে ১৮লাখ ৫০হাজার টাকা বরাদ্দে কাজ শুরু করেছে। স্থানীয় আরো কয়েকজন জানান, ঠিকাদার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লোকজনের যোগসাজজে নিয়ম বর্হিভূতভাবে অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে ওয়াশবøক/ টয়লেট নির্মানের কাজ চলছে।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের খাইরুল ইসলাম বলেন, ড্রয়িং ও সিডিউল সরাসরি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর হেড অফিস থেকে আসে এবং এটা অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট চলে আসার কথা। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী বাবুল আখতার বলেন, কোন অনিয়ম বা দূর্নীতি হয়নি। তাছাড়া প্রধান শিক্ষককে সবকিছু জানানো হয়েছে। তার মাধ্যমে ওয়াশবøক/টয়লেট স্থানটুকুও তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার রাজন আলি জানান শুুধু ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাজ করছি না। আরো অনেক বিদ্যালয়ের ওয়াশ বøক বা টয়লেট নির্মানের কাজ করছি। কোথাও কোন অনিয়ম ও দূর্নীতি হয়নি। তবে বিভিন্ন স্থানে করার কারণে অতিরিক্ত ব্যস্ত থাকায় ড্রয়িং ও সিডিউলের কপি দেয়া হয়নি। সামনে রবিবার দুটোর কপি প্রধান শিক্ষকের হাতে দিয়ে দিবো।
তিনি আরো বলেন, অবশ্যই তাদেরকে জানিয়েই কাজ চলছে। যদি তারা মনে করে যে ওয়াশ বøক /টয়লেট নির্মানে অনিয়ম হচ্ছে ,তাহলে তারা সংশিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দিতে পারেন। এব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার পরিমোর ঘোষ বলেন, আমি প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।