শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি বলেন, আমরা খেয়াল করেছি প্রতি কেন্দ্রের বাইরে অনেক ভিড়। পরীক্ষার্থীদের বাবা-মা-অভিভাবক ভিড় করেন। অবশ্য আমরা যখন পরীক্ষা দিয়েছি, তখনও আমাদের বাবা-মায়েরা আসতেন। আমরা কাউকে দোষ দিতে পারি না। বাবা-মা যারা আসেন, তারা যদি একদম গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন, তাহলে অন্য পরীক্ষার্থীদের সমস্যা হয়। আমি আহ্বান করবো— আপনার সন্তানের মতো অনেকের সন্তান পরীক্ষা দিচ্ছে। তাই একটু দূরে থাকুন।
শিক্ষামন্ত্রী বৃহস্পতিবার ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর দিন সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে এলাকার তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
এই সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোলেমান খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আগামী বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এপ্রিল মাসে নেওয়ার চেষ্টা থাকবে। এবারও আমরা চেষ্টা করেছিলাম। অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। এসএসসি চেষ্টা করবো আগের মতো ফেব্রুয়ারিতে নিতে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন— দারিদ্র যেন কোনও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। অর্থাৎ রাষ্ট্র তার দায়িত্ব নেবে। সেই প্রতিজ্ঞা বঙ্গবন্ধু করে গেছেন। এখন বঙ্গবন্ধু কন্যা তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করেন। কাজেই কোনও শিক্ষার্থী যদি এই রকম অবস্থা থাকে, যদিও আজ-কাল ওই রকম অবস্থা খুব কম থাকে। যেটি থাকে সেটির ব্যবস্থা আমরা করতে পারি। যে সব শিক্ষার্থীর সক্ষমতা নেই তাদের ভর্তির ব্যবস্থা করবে, টিউশন ফি ফ্রি করে দেওয়া, সেটাও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করবে বলে আশা করি। আর সরকারের তো উপবৃত্তি আছেই।