ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের খবর পেয়ে মালামাল গুটিয়ে লাপাত্তা অবৈধ ড্রেজার ব্যবসায়ী। রোববার (৬ আগস্ট) দুপুরে সাটুরিয়া উপজেলা তিল্লি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীরা জানায়, নদী থেকে বালু উত্তোলনের উদ্দেশ্যে চিহ্নিত ড্রেজার ব্যবসায়ীরা তিল্লি ব্রিজের নিকট ড্রেজার মেশিন ও সরবরাহ পাইপ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। এদিকে ওই অপ-তৎপরতার বিরুদ্ধে ৬ আগস্ট ভ্রাম্যমান আদালত গঠন করে অভিযান পরিচালনা করেন সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এই খবরে তাৎক্ষণিকভাবে মালামাল অপসারণ করে সংঘবদ্ধ ড্রেজার ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে ওই এলাকার কৃষক জব্বার শেখ জানান, সাটুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন নদনদী, খাল বিল, ডোবা নালা, এমনকি কৃষি জমি বিনষ্ট করে প্রভাবশালী চক্র প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ বালু উত্তোলন করে আসছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে রাতের অন্ধকারে এই অপকর্ম চালায়। মাঝে মাঝে প্রকাশ্যেও চলে।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খায়রুন নাহার জানান, তিল্লী ইউনিয়নের তিল্লী ব্রীজের পূর্ব ও পশ্চিম পার্শ্বের ধলেশ্বরী ও কালিঙ্গা নদীর এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। গত ৩০ মে জারিকৃত বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থপনা আইন ২০১০ এর ৪ ধারার বিধান মতে গণ বিজ্ঞপ্তিজারি ও সতর্কতা মূলক লাল নিশান স্থাপন করা হয় উল্লেখিত স্থানে। তদুপরি কে বা কারা তিল্লি ব্রিজের নিকট ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলনের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের খবর পেয়ে তারা ড্রেজারের মালামাল গুটিয়ে সটকে পড়ে।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা রহমান বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের কাজে লিপ্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।