বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা বলেছেন, সন্ত্রাসী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বিগত ১৫ বছরে বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির হারানো প্রভাব ও ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। রাজপথে থেকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে সন্ত্রাসী -জালিম ও ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের ভোটাধিকার, ভাতের অধিকারসহ মৌলিক মানবাধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।
তিনি বলেন, ২৯ জুলাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে গাবতলীতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর হামলা করে। পুলিশ বিনা অপরাধে আমাার মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে। একই দিন পুলিশ বিএনপির স্বনাম ধন্য নেতাদের প্রকাশ্যে লাঠিপেটা করে। আমি এই বর্বরোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
রিতা আরো বলেন, শেখ হাসিনা ভোট চুরির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে দেশের মানুষের মৌলিক মানবাধিকার হরণ করেছে! ধ্বংস করেছে গণতন্ত্র। ধ্বংস করেছে মানুষের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকারসহ মৌলিক অধিকার। দেশের মানুষের সেই হারানো অধিকার ও প্রভাব ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলন- সংগ্রামের মাধ্যমে হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেলে মানিকগঞ্জের খন্দকার দেলোয়ার হোসেন কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত কেন্দ্র ঘোষিত জণ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বিএনপি নেতা গোলাম কিবরিয়া সাঈদের সঞ্চালনায় বিএনপি ও এর অঙ্গ -সহযোগী সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত জনসমাবেশে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবির বলেন, নব্য স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারকে বিদায় করতে জনাব তারেক রহমানের নির্দেশে আগামী দিনে আরো কঠোর আন্দোলন আসছে। সেই কঠোর আন্দোলন বাস্তবায়নে আমি জেলা বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবির আপনাদের সামনে কথা দিচ্ছি, জেলা বিএনপি'র সভাপতি আফরোজা খান রিতার নির্দেশে যত কঠিন আন্দোলন হোক না কেন, জেল- জুলুম, পুলিশি নির্যাতন, গ্রেপ্তার সহ যত বাধাবিপত্তি আসুক না কেন? আমি ওনার পাশে থেকে সেই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করব।
জনসমাবেশে অ্যাডভোকেট আজাদ হোসেন খান, আব্দুল বাতেন, আব্দুল কুদ্দুস খান মজলিস মাখন , সত্যেন কান্ত পন্ডিত ভজন, এস এম ইকবাল হোসেন আ ফ ম নুরতাজ আলম বাহার, গোলাম আবেদীন কায়সার, আব্দুস সালাম বাদল, অ্যাডভোকেট আরিফ হোসেন লিটন, শামীম আল মামুন, নাসিরুদ্দিন আহমেদ জাদু, সাবিহা হাবিব, সিকদার মোশারফ হোসেন, কাজী মোস্তাক হোসেন দিপু, তুহিনুর রহমান তুহিন, জিএস জিন্না খান, রামিল খান, আব্দুল কাদের, আব্দুল খালেক শুভ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে জেলা বিএনপির ৭ উপজেলা ও ২ পৌর ইউনিটের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।