অসহায় ও দুস্থদের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে বরাদ্দ দেয়া জিআর প্রকল্পের চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসারের যোগসাজসে বিভিন্ন ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের নামে প্রায় ৫৪ লাখ টাকার চাল গরিবদের মাঝে বিতরণ না করে তা কালোবাজারে বিক্রি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
গত ১০ জুলাই দুদক চেয়ারম্যান বরাবর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী মোঃ মোমেন মিয়া স্বাক্ষরিত অভিযোগে বলা হয়, নরসিংদী জেলা রায়পুরা উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসারের যোগ সাজসে ১। রিয়াজ মুর্শেদ খান রাসেল, চেয়ারম্যান শ্রীনগর ইউনিয়ন পরিষদ, তার নামে ৮৫ মে:টন চাল উত্তোলন করেন। ২। একেএম ফজলুল করিম ফারুক, চেয়ারম্যান, আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ, তার নামে ২৬ টন। ৩। বশির আহমেদ রিপন সরবার, চেয়ারম্যান, মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদ, তার নামে ২৬ টন মোট- ১৩৩ মে: টন চাল তাদের নামে উত্তোলন করা হয়। উত্তোলন করে উক্ত চাল কালোবাজারে বিক্রি করে দেয়।
উক্ত চাল ঈদের দুই দিন আগে তাদের নামে ডিও ইস্যূ করা হয়। ঈদে সরকারি ছুটিকালীন রায়পুরা খাদ্য গুদাম হতে অল্প-অল্পকরে রায়পুরা বাজারের অসাদু ব্যবসায়ী মোঃ উছমান ডিলার চাল উত্তোলন করেন। যাহার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৫৪ লাখ লাখ টাকা। উক্ত চাল নদী ভাঙ্গন এলাকার অসহায় গরিব দুস্থদের মাঝে বিতরণের কথা ছিল কিন্তু বিতরণ না করে কালোবাজারে বিক্রিকরে দেয়।
অতএব, এসব বিষয়টি বিবেচনা ও সরজমিনে তদন্তি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিশেষ ভাবে অনরোধ করা হয় অভিযোগপত্রে।
অভিযোগের কপি ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, নরসিংদী জেলা প্রশাসক, রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং নরসিংদী ও রায়পুরা প্রেসক্লাব নেতাদের অভিযোগের প্রদান করা হয়েছে।