তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে অভিযোগের ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিকাশ প্রতারক 'টোপ' চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। শনিবার (১৫ জুলাই) পৌনে ছয়টাশ মাগুরা জেলা শ্রীপুর থানাধীন শ্রীপুর বাজারস্থ মফিজ টেলিকম নামক একটি দোকানের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
মানিকগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা জানায়, গত ১৪ জুলাই বিকাশ প্রতারণার শিকার জনৈকা সঞ্চিতা মন্ডল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জ থানায় মামলা (মামলা নং-৩২, তারিখ ১৪/০৭/২৩) দায়ের করেন। তাৎক্ষণিকভাবে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান পিপিএম বার এর দিকনির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) ইমতিয়াজ মাহবুব ক্যাশ আউটের সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের সনাক্ত করেন। ওসি (ডিবি) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এস আই মাহবুব আলমের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স টোপ পার্টি নামে পরিচিত বিকাশ প্রতারক চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার বরিশাট (শ্রীকোল) গ্রামের মৃত আজিজের পুত্র রাজু মোল্লা (৪১), আব্দুল আজিজ শেখের পুত্র মফিজুর রহমান (৪০), রশিদ মিয়ার পুত্র তিতাস মিয়া (২৩) ও বাড়ইপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম ওরফে আক্কাস মোল্লার পুত্র খালিদ হাসান মিঠু (৪০)।
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামি রাজু মোল্লা বিকাশ প্রতারকদের টাকা বিভিন্ন বিকাশের দোকানের এজেন্ট নাম্বার হতে টাকা উত্তোলন করে মফিজুর রহমান ও নিঠুর নিকট পাঠায়। অতঃপর মফিজুর রহমান রাজুর পাঠানো টাকা তার বৈধ এজেন্ট নাম্বারে গ্রহন করে।
এ বিষয়ে খালিদ হাসান মিঠু জানায়, যখন কোন প্রতারকের টাকা ক্যাশ আউট করার প্রয়োজন হয় তখন সে আসামী রাজুর সাথে যোগাযোগ করে টাকা উত্তোলন করার ব্যবস্থা করে। তিতাস মিয়া জানায়, সে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মোবাইলে বিকাশ এজেন্টের পরিচয়ে ফোন করে ভুলবশত টাকা চলে যাওয়ার বিষয়ে মেসেজ প্রদান করে।
জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীরা পেশাদার সংঘবদ্ধ বিকাশ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। আসামীদের এলাকায় বিকাশ প্রতারনার বিষয়টি 'টোপ' নামে পরিচিতি মর্মে জনশ্রুতি রয়েছে। আসামীদের উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহনের নিমিত্তে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।