পাংশায় ক্লিনিকের নামে জোরপূর্বক জমি বিক্রিতে বাধ্য করার চেষ্টা ও মারধরের ঘটনায় দায়েরকৃত দ্রুত বিচার আইনের মামলায় রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.আক্তার হোসেন সহ ৪জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। অভিযুক্তরা হলো, রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও মেডিল্যান্ড ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা.মোঃ আক্তার হোসেন,তার সহোদর নয়মুল হোসেন, সহযোগি মোঃ সোহেল রানা ও মোঃ আমিরুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার রাজবাড়ীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মোঃ সুমন হোসেন এ আদেশ প্রদান করেন।
এর আগে পাংশা থানা পুলিশের তদন্ত রিপোর্টে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ট্রাইব্যুনাল ৪ জনের বিরুদ্ধে সমনের আদেশ জারি করেন। বৃহস্পতিবার ধার্য্য তারিখে আদালতের আদেশ অমান্য করে অনুউপস্থিত থাকায় ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ জারি করেন।
মামলা সুত্রে জানাগেছে, পাংশা উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন নারায়নপুর এলাকার স্কুল শিক্ষক এনামুল কবিরের নিজ বসতবাড়ী মেডিল্যান্ড ক্লিনিকের কাছে বিক্রি করতে বাধ্য করার জন্য পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে গত ২৯ মার্চ অস্ত্রসস্ত্র ও মোটরসাইকেল নিয়ে বসতবাড়ীতে হামলা চালায়।এসময় স্কুল শিক্ষকের স্ত্রী শারমীন রেবা লিপি, শিশুপুত্র সামিউল হাবিব, কন্যা জিনাত তাসনিমকে মারধর ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় স্কুল শিক্ষকের স্ত্রী শারমীন রেবা লিপি বাদী হয়ে গত ৪ এপ্রিল রাজবাড়ী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতে (নং-৭/২৩) মামলা দায়ের করে। বিচারক মামলাটি পাংশা থানার ওসিকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পাংশা থানার এসআই মাহবুবুর রহমান (মামুন) তদন্ত পূর্বক গত ১৮ মে ৪জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
জমি বিক্রিতে বাধ্য ও মারধরের মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.মোঃ আক্তার হোসেন এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা.শেখ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন,আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.মোঃ আক্তার হোসেন নিয়মিত হাসপাতালে ডিউটি করেন না। এ কারণে তাকে একাধিকবার শোকজ করা হয়েছে। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবি এ্যাড.বিপ্লব রায় বলেন, আদালতে প্রথমে আসামীরা জামিনের আবেদন করলেও পরবর্তীতে জামিন আবেদনটি প্রত্যাহার করে নেন।এ কারণে আসামীদের অনুপস্থিতিতে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি হয়েছে।