রাজবাড়ীর পাংশায় প্রধান বিনোদনকেন্দ্র হয়ে ওঠে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত হেনা পার্ক। পার্কটিকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার নদীতীরে ধর্মীয় ও জাতীয় উৎসবের সময় দর্শনার্থীদের ভিড় লেগেই থাকত। সম্প্রতি ওই এলাকায় পিন্টু-মিন্টু পার্ক নামে আরো একটি বিনোদনকেন্দ্র গড়ে ওঠে। তবে এলাকাটি এখন আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে।
গত ৭ জুলাই সন্ধ্যায় বাহাদুরপুর ইউনিয়নের বকশিপুর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক কিশোরের মৃত্যু ও এক কিশোরী আহত হয়। তবে ওই দুর্ঘটনা নিয়ে সৃষ্টি হয় রহস্য। স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়,হতাহত কিশোর কিশোরী একসঙ্গে বাহাদুরপুর হেনা পার্কে ঘুরতে গিয়ে কিশোরদলের খপ্পরে পড়েছিল। ওই ঘটনার পর থেকে আতঙ্ক বাড়ে দর্শনার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে।
দুর্ঘটনার পরদিন বিকেলে সরেজমিনে দুর্ঘটনাস্থলে যান এই প্রতিবেদক।সেখানে আগের দিন দুর্ঘটনার সময় উপস্থিত কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা জানান,ওই দিন বিকেলে ওই কিশোর-কিশোরী নৌকায় করে পদ্মা পার হয়ে চরে গিয়েছিল। বিষয়টি দেখে কিশোরদলের ছয় সদস্য তাদের ভয় দেখিয়ে সেখান থেকে তারাপুর মাদরাসাসংলগ্ন একটি ইটভাটায় নিয়ে যায়। সেখানে তাদের কাছে থাকা টাকা, মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। পরে তাদের একটি মোটরসাইকেলে করে বাহাদুরপুরের দিকে নিয়ে যাওয়ার সময় বাহাদুরপুর বাজারে দুর্ঘটনায় পড়লে কিশোর-কিশোরীকে রেখে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে অভিযুক্ত ছয় কিশোর। এ সময় সেখানে উপস্থিত লোকজনের সামনে ওই কিশোর-কিশোরী অভিযোগ করে, তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পরে বিষয়টি বাহাদুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সমাধান করেন। পাংশা থানার ওসি মাসুদুর রহমান বলেন,ওই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।