রাজবাড়ীর কালুখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে চাঁদাদাবী করার অভিযোগে মোঃ খলিল ফকির (৪০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।তিনি কালুখালী উপজেলার লস্করদিয়া গ্রামের জলিল ফকিরের ছেলে ও রতনদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি।
বুধবার দুপুরে কালুখালী থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে রাজবাড়ী আদালতে প্রেরণ করলে তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোই আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগে প্রকাশ করে, কালুখালী উপজেলার মাধবপুর গ্রামের এক গৃহবধুর(৩৩) স্বামী মালয়েশিয়া প্রবাসী। তার স্বামী বিদেশে থাকার কারণে খলিল ফকির, কারণে অকারণে ওই গৃহবধুর বাড়ীতে যাতায়াত করতো। তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে মোবাইলে বিভিন্ন ধরণের কথাবার্তা বলতো। শাশুড়ি ও বড় ভাসুরের সাথে বিরোধে তার স্বামীর ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়। ফলে ওই গৃহবধু তার চাচা আফজাল মোল্যার বাড়ীতে অবস্থান করে। পারিবারিক ঝগড়া মিটিয়ে দিয়ে তার স্বামীর বাড়ীতে উঠিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করলে,খলিল ফকির কালুখালী থানার ওসির সাথে কথা বলে পরে জানাবে বলে তাদের জানায়। পরে গত ৮ জুলাই কালুখালীর গঙ্গানন্দপুর হিরু মোল্যার ঘাটের সেলিমের দোকানের সামনে দেখা করলে জানায়, ওসির সাথে কথা হয়েছে তার স্বামীর বাড়ীতে উঠিয়ে দেওয়ার জন্য ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে। এ বিষয়ে পরে কথা বলবে বলে জানিয়ে চলে গেলে ওই গৃহবধুর মোবাইলে টাকার জন্য চাপ দেয় খলিল। কিন্তুু ওই গৃহবধূ টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে ক্ষতি সাধনের হুমকি দেয়। সে যুবলীগের সভাপতির প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। যুবলীগের প্রভাব খাটিয়ে চলার কারণে স্থানীয় লোকজন তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায়না।
কালুখালী থানার ওসি প্রাণ বন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, মঙ্গলবার মামলা দায়েরের পর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই প্রদীপ চন্দ্র সরকার অভিযান চালিয়ে মোঃ খলিল ফকিরকে গ্রেপ্তার করেন। তাকে বুধবার রাজবাড়ী আদালতে সোপর্দ করা হলে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেছে উল্লেখ্য, গত ১০ জুন খলিল ফকির কালুখালী উপজেলা শহরে চাঁদপুর বঙ্গবন্ধু চত্বরে প্রকাশ্য মিটিং-এ রাজবাড়ী জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক শেখ সোহেল রানা টিুপুর হাত-পা ভেঙ্গে দেবার ঘোষনা প্রদান করে।ওই সময় বিষয়টি ব্যাপক আলোচনায় আসে।