শিবগঞ্জ পৌর এলাকার আম চাষী ও আম ব্যবসায়ী আহসান হাবিব স্থানীয় পরামর্শে সরকারি সংরক্ষণাগারে আম রেখে বিপাকে পড়েছেন।
তিনি জানান গত ১৪ জুন শিবগঞ্জ পৌর এলাকার একাডেমি মোড়ে অবস্থিত আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের সংরক্ষণাগারে সংরক্ষণের জন্য প্রায় ৩ টন আম রেখেছিলাম। কিন্তু সংরক্ষণ তো দূরের কথা। কয়েকদিনের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশর বেশি আম পচে নষ্ট হয়ে গেছে তার। তিনি বলেন, একাডেমী মোড়ের সরকারী সংরক্ষণাগারের দায়িত্বরত কৃষি অফিসারের পরামর্শে আমার আম বাগানের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ প্রাপ্ত খিরসাপাত ও ল্যাংড়া প্রায় ৩ টন আম রেখেছিলাম। তাদের ভাষ্য মতে২০দিনসংরক্ষণ থাকার কথা। গত২৫ জুন গিয়েই দেখি আমার আমগুলোতে পচন ধরেছে। এমন চিত্র দেখে আমি দিশেহারা হয়ে পানির দরে সেই আমগুলি বাকীতে বিক্রী করেছি। আমার প্রায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি এর ক্ষতিপূরণ চাই।
শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, আহসান হাবিবের আমগুলো বেশি পরিপক্ক থাকায় কিছু আম ফেটে গেছে। তবে পচে যাওয়ার ঘটনা আমি জানিনা। আর এখন আমাদের ফজলি জাতের আম রাখা আছে সেগুলো তো পাঁকছেনা।
জানতে চাইলে আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এস এম হাসানুজ্জামান বলেন, এ বিষয়টি আমি অবগত না।আর শিবগঞ্জের সংরক্ষণাগারটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছ সেই আম চাষিকে অন্য প্রকল্পের মাধ্যমে সহযোগিতা করবো।