রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ক্যানালঘাট এলাকায় নদীতে গোসল করতে গিয়ে রবিন শেখ (১২) নামে এক স্কুল ছাত্র নিখোঁজের ৩২ ঘন্টা পরও উদ্ধার করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের অভিযান চলাকালে বুধবার বেলা ৩টার দিকে চরম অসুস্থ্য হয়ে পড়েন তানভীর নামের এক ডুবুরী দলের সদস্য।
এর আগে গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ক্যানেল ঘাট এলাকার পদ্মার একটি শাখা নদীতে বন্ধুদের সাথে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয় রবিন। নিখোঁজ রবিন দৌলতদিয়া ক্যানেল ঘাট এলাকার কাইমউদ্দিন মোল্লা পাড়ার রফিক শেখের ছেলে। সে দৌলতদিয়া ইউনিয়নের বড় সিংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র।
নিখোঁজ রবিনের মামা ইমন আলি জানান, সকালে রবিনের বড় বোনের ছেলে সাজ্জাতের সাথে নদীর নতুন পানিতে গোসল করতে যায়। নদীতে প্রচন্ড স্রোত থাকায় সে পানি তলিয়ে যায়। এসময় অন্য শিশুদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে উদ্ধারের চেষ্টা করে এলাকাবাসী। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মী এবং ডুবুরীর দল উদ্ধার অভিযান সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যায় শেষ করে। পরদিন আবার অভিযান শুরু করে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মরদেহটি ওই নদীতে ভেঁসে ওঠে।
এদিকে উদ্ধার অভিযান চলাকালে পানির নিচেই অসুস্থ্য হয়ে পড়েন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী ইউনিটের সদস্য মো. তানভীর। এসময় তার সহকর্মীরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে জরুরী বিভাগে তার চিকিৎসা শেষে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গোয়ালন্দ উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানান, গতকাল সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে আমরা খবর পেয়ে আমরা ও মানিগঞ্জের ডুবুরি টিম এসে উদ্ধার কাজ শুরু করি। সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চলে, রাত আমরা নদীতে ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় উদ্ধার কাজ বন্ধ রাখি। পরদিন বুধবার পুনরায় সকাল থেকে ডুবুরি দল আবার উদ্ধার কাজ শুরু করে। বুধবার ( ২১ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মরহেদটি স্থানীয়রা ভেঁসে উঠতে দেখে। পরে মরদেহটি আমরা উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের একজন ডুবুরি দলের সদস্য উদ্ধার কাজ করতে গিয়ে পানির নিচ থেকে মুখের অক্সিজেন খুলে যায়। পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেয়া হয়, এখন হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে তিনি আগের থেকে সুস্থ রয়েছেন।