ঝালকাঠিতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামে যাত্রীবাহী একটি লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও দুই শতাধিক যাত্রী দগ্ধ হয়েছেন। অর্ধশতাধিক যাত্রীকে দগ্ধ অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অনেকে নিখোঁজ আছেন। তাৎক্ষনিকভাবে হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ৩টার দিকে সুগন্ধা নদীর গাবখান ধানসিঁড়ি এলাকায় ঢাকা থেকে বরগুনাগামী লঞ্চটিতে আগুন লাগে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক কামাল হোসেন ভূঁইয়া এক ব্রিফিংয়ে ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় দগ্ধ অন্তত ৪৮ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, লঞ্চটির ইঞ্জিন কক্ষ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
আগুনে পোড়া লঞ্চ
এর আগে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক কামাল হোসেন ভূঁইয়া ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধারের কথা জানিয়েছিলেন। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আগুন নেভানোসহ উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সূত্রমতে, লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিল। এতে প্রায় হাজারখানেক যাত্রী ছিলেন। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে থাকা অবস্থায় লঞ্চটিতে আগুন লাগে। পরে পার্শ্ববর্তী দিয়াকুল এলাকায় ভেড়ানো হয়।
লঞ্চের একাধিক যাত্রী জানান, রাত ৩টার দিকে লঞ্চের ইঞ্জিনরুমে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো লঞ্চে। এতে লঞ্চে থাকা দুই শতাধিক যাত্রী দগ্ধ হন। প্রাণে বাঁচতে অকেনে নদীতে ঝাঁপ দেন।
তবে ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, লঞ্চে পাঁচ শতাধিক যাত্রী থাকলেও আগুনে ৭০-৮০ জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধ বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এর সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি।