রাজধানী ঢাকার অদূরে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে শুরু হয়েছে তাবলিগ জামাতের ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথমপর্ব। আজ বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ইজতেমা শুরু হয়।
তবে এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরের আগেই ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকা, সড়ক ও ভবন কানায় কানায় ভরে যায়। এ কারণে বাদ জোহর থেকেই শুরু হয় তালিমি বয়ান। আজ এ ময়দানে দেশের বৃহত্তম জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হবে। রোববার দুপুরের আগে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে প্রথমপর্ব।
সূত্রমতে, মুসল্লিরা বুধবার থেকেই ময়দানে আসতে শুরু করেন। বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যেই ময়দান ও আশপাশের এলাকা পূর্ণ হয়ে ওঠে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দুপুর বা এরপর আসা মুসল্লিদের বড় অংশকেই তাই ফিরে যেতে হয়েছে। কেউ কেউ এখানে ঠাঁই না পেয়ে ঢাকায় তাদের নিকটাত্মীয়দের কাছে আশ্রয় নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত ভারত, সিরিয়া, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চাঁদ, মিয়ানমার, আফগানিস্তানসহ ৪০ দেশের প্রায় দুই হাজার বিদেশি মেহমান ময়দানে নির্ধারিত নিবাসে অবস্থান নেন। এ তথ্য জানিয়েছেন বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়কারী মুফতি জহির ইবনে মুসলিম। তিনি বলেন, বিদেশিদের মধ্যে ভারত থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক মুসল্লি ময়দানে অবস্থান নিয়েছেন।
মেডিকেল ক্যাম্প : বৃহস্পতিবার দুপুরে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ইজতেমা ময়দান পরিদর্শন করেন। পরে তিনি ময়দানের উত্তর-পশ্চিম কোণে অলিম্পিয়া টেক্সটাইল মিলস উচ্চবিদ্যালয় মাঠে স্থাপিত হামদর্দ ল্যাবরেটরিজের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, হামদর্দের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া রাসেল, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মাহবুব আলম প্রমুখ। এ ছাড়াও মাঠের উত্তর-পশ্চিম কোণে অলিম্পিয়া টেক্সটাইল মিলস উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ইসলামী ফাউন্ডেশন, হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ, ইবনে সিনা, গাজীপুর সিটি করপোরেশন, গাজীপুর সিভিল সার্জন, টঙ্গী ঔষধ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি, র্যাবসহ প্রায় ৩০টি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান তাদের বিনামূল্যে ঔষধ সরবরাহ করছে।
চার দিন বিরতি দিয়ে ২০ জানুয়ারি দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাযের অনুসারী (ওয়াসিফুল ইসলামপন্থি) মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয়পর্বে অংশ নেবেন। ২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে এবারের বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে। ২০২০ সালে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর করোনা-১৯ মহামারির কারণে গত দুই বছর ২০২১ ও ২০২২ সালে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়নি।