রাসুল সাল্লাল্লাহু-আলাইহি ওয়া-সাল্লাম সাহাবী মুসলিম তামীমী (রাযিঃ) কে বলেন, তুমি যখন মাগরিব ও ফজরের নামাযের পর সালাম ফিরাবে তখন কারো সাথে কথা বলার আগে নিম্ন লিখিত দু’আটি সাতবার বলবে-
আল্লাহুম্মা আজিরনী মিন্নান্নার।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও।
অতঃপর তুমি যদি ঐ দিন বা রাতে মরে যাও তাহলে তোমার জন্য জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি সনদ লিখে দেয়া হবে। (আবু দাউদ, মেশকাত ২১০ পৃঃ)
রাসুল সাল্লাল্লাহু-আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি ফজরের নামায জামা’আতের সাথে পড়ে, অতঃপর সে ওখানেই বসে আল্লাহর যিকর আযকার করতে থাকে যতক্ষণ না সূর্য উঠে। অতঃপর সূর্য উঠার কিছুক্ষণ পর(১৬/২৩মিনিট পর) দু’রাকাত নামায পড়ে তার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ হজ্ব ও উমরার সমান সওয়াব হয়। (তিরমি্যী, তাহক্বীকুল মেশকাত ৩০৬ পৃঃ)
একদা উম্মুল মু’মিনীন জুয়াইরিয়া (রাযিঃ) ফজরের নামাজের পর নামাযের বিছানায় বসে চাশতের সময় পর্যন্ত তাসবীহ তাহলীল করছিলেন। এমন সময় রাসুল সাল্লাল্লাহু-আলাইহি ওয়া-সাল্লাম উপস্থিত হয়ে বললেন, আমি চারটি কালিমা তিনবার পাঠ করেছি যার নেকী আজকের দিনের শুরু থেকে তোমার সমস্ত তাসবীহ তাহলীলের নেকির সমান হবে। (মুসলিম, মেশকাত ২০০, ২০১ পৃঃ) কালিমা চারটি- سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ وَرِضَا نَفْسِهِ وَزِنَةَ عَرْشِهِ وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ " .
উচ্চারন- সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী আদাদা খালক্বিহী
ওয়া রিযাা নাফসিহী
ওয়া যিনাতা আরশিহী
ওয়া মিদাাদা কালিমাাতিহ।
অর্থঃ আমি প্রশংসা সহকারে আল্লাহ তা’আলার
পবিত্রতা বর্ণনা করছি, তাঁর সৃষ্টির সংখ্যানুপাতে, তাঁর নিজের সন্তুষ্টি মত, তাঁর আরশের ওজন
সমপরিমান এবং তাঁর অফুরন্ত বাণী পরিমাণ।