বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি নসরুল হামিদ মিলনায়তন অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন পদ্ধতি ১৯ ৭২/৯০এর বি ধারা সংযুক্ত কালো আইন স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর ১২/৩/ক ধারা কালো আইন ও দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন পদ্ধতি বাতিলের প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক আলোচনা সভা দোয়া ও ইফতার মাহফিলের অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সাবেক ধর্ম পানিসম্পদ মন্ত্রী অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল সমন্বয় পরিষদ ও বি এল ডিপি চেয়ারম্যান এম নাজিম উদ্দিন আল আজাদ বলেন এই মাসে সত্য ও মিথ্যার পার্থক্যকারী আল কোরআন নাজিল হয়েছে, আমাদের সত্যের উপর দাঁড়িয়ে সত্য আদর্শের রাজনীতিতে অবিচল থেকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানুষের সার্বিক অধিকারের ভিত্তিতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার দাবি বাস্তবায়নে কাজ করি।
অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল সমন্বয় পরিষদের কো-চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলনের সদস্য সচিব মোঃ মাসুদ হোসেনের সঞ্চালনায় অন্যান্য বক্তাগণ বলেন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন পদ্ধতি ১৯৭২/৯০এর বি ধারা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ১ শতাংশ ভোটারের সাক্ষরতা ১২/৩এরক ধারা আইন সংযুক্তির মাধ্যমে নাগরিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। এই আইনের মাধ্যমে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের ইচ্ছামত নিয়ন্ত্রণ করছে রাজনীতিবিদদের নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করার থেকে বিরত রাখছে যা অসাংবিধানিক অগণতান্ত্রিক এই আইনের মাধ্যমে সরকার জনগণের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে, অবিলম্বে এই আইন গুলো বাতিল করার জোর দাবি জানান।
বক্তাগণ আরো বলেন, দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন পদ্ধতি চালুর মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা সৃষ্টি করে ভাইয়ে ভাইয়ে সংঘাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিগত নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছে অসংখ্য মানুষ আহত নিহত হয়েছে এর দায়ভার সরকারকে নিতে হবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন গুলোতে যারা রাজনীতি করে না কিন্তু জনগণ ও সমাজ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে এ ধরনের ব্যক্তিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তারা অনতিবিলম্বে দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন পদ্ধতি বাতিলের দাবি জানান।
বক্তব্য রাখেন অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল সমন্বয় পরিষদের কো-চেয়ারম্যান গণআজাদী লীগের মহাসচিব আতাউল্লাহ খান বাংলাদেশ জাতীয় লীগের চেয়ারম্যান ডক্টর শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ বাংলাদেশ কর্মসংস্থান আন্দোলনের চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন বাংলাদেশ স্বাধীন পার্টির চেয়ারম্যান মির্জা আজম বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান মুফাসসিরে কোরআন অধ্যাপক বজলুর রহমান আমিনী দেশপ্রেমিক নাগরিক পার্টির চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ শামীম, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা ওবায়দুল হক, ইসলামী ঐক্য জোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা শওকত আমিন, তৃণমূল বিএনপির যুগ্মমহাসচিব রুকসানা আমিন সুরমা বাকশালের মহাসচিব জহিরুল কাইয়ুম, সোনার বাংলা পার্টির মহাসচিব সৈয়দ হারুনর রশিদ, বিডিপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সামশুল আলম চৌধুরী সুরমা ভাই, বিপিডিপির চেয়ারম্যান মোঃ জালাল, বিএনডিপির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক সচিব মোঃ আবুল কাশেম, বাকশাল এর মহাসচিব এম জহিরুল ইসলাম কাইয়ুম, আওয়ামী পার্টি বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান এম গোলাম মোস্তফা সরকার, মানবাধিকার পার্টির চেয়ারম্যান খাজা মুহিব্বুল্লাহ শান্তিপুরী, মানবতা পার্টির চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ পঞ্চগড়ি, স্বদেশ গনতান্ত্রিক আন্দোলন এর আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন ভুইয়া, ডেমোক্রেটিক পিউপ্যাল পার্টির চেয়ারম্যান ড. মোমেনা খাতুন, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় জাগো নারী ফাউন্ডেশন এর সভাপতি রেহেনা আকতার রেনু, ন্যাশনাল সবুজ বাংলা পার্টির চেয়ারম্যান মোঃ শাহ আলম তাহের, জনতার কথা বলে এর সাধারণ সম্পাদক, মোঃ এহতেশামুল হক রুমেল, জীবন গড়ি পার্টির চেয়ারম্যান নাসরীন হীরা ডায়মন্ড, সাধনা সংসদ এর মহাসচিব বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট মেঃ দেলোয়ার হোসেন কেএসপির চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলাম, প্রমূখ।