আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে রিভিউ করবেনও বলে জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর হারিকেন এলাকায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানান তিনি। দল থেকে তাকে বহিষ্কারের বিষয়ে কথা বলতে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকেন গাজীপুরের মেয়র। কথা বলার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন জাহাঙ্গীর।
গাজীপুরের মেয়র বলেন, ‘আমি কোনো ভুল করিনি, তবুও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা মাথা পেতে নিব।’
জাহাঙ্গীর বলেন, আমাকে বহিষ্কার করে মানসিকভাবে আঘাত দেওয়া হয়েছে যা আমি ও আমার পরিবার মেনে নিতে পারছি না। আমি বহিষ্কারের বিষয়ে নেত্রীর কাছে রিভিউ করব।
আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ ফিরে পাওয়ার আকুতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো অন্যায় করিনি, অপরাধ করিনি। আমি এ সাধারণ সম্পাদক পদ চাই না, বাকি জীবন আওয়ামী লীগের সাধারণ সদস্য ও সমর্থক হয়ে থাকতে চাই।’
জাহাঙ্গীর অভিযোগ করে বলেন, ‘ছাত্র রাজনীতি করার সময় থেকে একটি প্রতিপক্ষ নানাভাবে তাঁর ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমার ঘরের ভেতরে বসে তিন ঘণ্টার আলাপচারিতাকে খণ্ড খণ্ড করে জোড়া দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।’ আমার অস্তিত্বে জড়িয়ে আছেন বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা। এই মানুষগুলোর জন্য আমি ফাঁসিতে ঝুলতেও রাজি।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনিরুজ্জামানসহ কয়েকজন কাউন্সিলর ছিলেন।
গতকাল শুক্রবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হওয়া বৈঠকে জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এ নিয়ে গাজীপুর সহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে বেশ আলোচনার ঝড় শুরু হয়।