রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো এবং তাঁর স্থায়ী মুক্তির দাবিতে দলটির পূর্বঘোষিত গণঅনশণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল ৮টার পর থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীরা অনশনে যোগ দিতে নয়াপল্টনে এসে জড়ো হতে থাকেন। ৯টার আগেই অনশন স্থলে নেতাকর্মীর ভিড় ভেড়ে যায়। অনশনে শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বিএনপিপন্থী পেশাজীবী নেতারাও যোগ দেন।
এদিকে, বিএনপির গণঅনশণ কর্মসূচি ঘিরে সতর্ক রয়েছে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যেরা। পল্টন, ফকিরাপুল, নাইটিঙ্গেল মোড়, কাকরাইল মোড়সহ আশপাশের এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
গণঅনশণের মূল দাবি প্রসঙ্গে ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নেওয়াজ বলেন, ‘আমাদের নেত্রী, দেশনেত্রী, মাদার অব ডেমোক্রেসি দীর্ঘদিন অসুস্থ। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছেন, দেশে তাঁর চিকিৎসা সম্ভব নয়। পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার আবেদনের পরেও সরকার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমাদের দাবি, যেন অতি দ্রুত ম্যাডামের জীবন বাঁচাতে তাঁকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হয়।’

গণঅনশনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত আছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হক, বিএফইউজের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ডিইউজের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।