বুখারী শরীফের এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা'আলা 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা সাহরী খাও। কেননা সাহরী খাওয়ার মধ্যে বরকত আছে।
মুসলিম শরীফের এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমাদের রোজা এবং আহলে কিতাবদের রোজার মধ্যে পার্থক্য হলো সাহরী খাওয়া।
আহলে কিতাব অর্থাৎ ইহুদি খ্রিষ্টান। তো ইহুদি খ্রিস্টানরা রোজা করতো কিন্তু তারা সাহরী খাইত না। এটাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা'আলা 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম এখানে বলেছেন যে, আহলে কিতাব এবং আমাদের রোজার মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে ওরা সাহরী খায় না কিন্তু আমরা সাহরী খাই।
বিভিন্ন হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাফের মুশরিকদের সাথে যাতে সামঞ্জস্য না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলেছেন। তো অনেক ভাইকে দেখা যায়, তারা রোজা তো রাখে কিন্তু সাহরী খাওয়ার এহতেমাম করে না। তারা প্রথম রাত্রেই ভালো করে খেয়ে শুয়ে পরে। সাহরীর সময় আর উঠে না। এরকম কেউ কেউ আছেন। এমনটা না করা চাই।
সাহরী খাওয়ার মধ্যে বরকত আছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা'আলা 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাহ হচ্ছে সাহরী খাওয়া। অনেক সময় এরকম হয় যে, সাহরীর সময় খাওয়ার বিশেষ কোনো আগ্রহ নাই, পেট ভরা। এরকম ক্ষেত্রে অল্প সামান্য কিছু খাওয়া হল। কয়েকটা খেজুর খাওয়া হল অথবা কয়েক গ্লাস পানি খাওয়া হল। তবুও কিছু একটা খাওয়া।
একদম সাহরীতে কিছু না খাওয়া সুন্নতের খেলাফ। এখানে বড় বিষয় হচ্ছে এতে করে ইহুদি খ্রিস্টানদের সামঞ্জস্য হয়ে যায়, যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা'আলা 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম করতে নিষেধ করেছেন। তো এজন্য এটা সুন্নতের খেলাফ বিধায় সাহরী খাওয়ার এতেহমাম করা চাই।