ক্ষমতাসীনরা বাজার সিন্ডিকেট করে নেতারা পকেট ভারী করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার বিকালে রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে ‘দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতি’র প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা(সরকার) জিনিসপত্রের দাম কমাতে পারবে না। কারণ ওইখান থেকে তারা ভাত খায়, তাদের নেতারা সিন্ডিকেট করে সেখান থেকে তারা ভাত খায়, পকেট ভারী করে, করছে। দুর্নীতি করে সমস্ত দেশকে তারা ভরে দিয়েছে। এই যে মেগা প্রজেক্ট দেখছেন..। গত ১০ বছর ধরে ঢাকা শহরের মানুষদের কী কষ্ট যাচ্ছে। ১০ টাকার জিনিস ২০ টাকা, পদ্মাসেতুর প্রজেক্ট ১০ হাজার কোটি টাকা বেড়ে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। এভাবে ওরা নিজেদের পকেটে টাকা ভরছে।
ফখরুল বলেন, আমাদেরকে জনগনের এই কষ্ট দূর করতে হবে, আমাদের মা-বোনদের ওই টিসিবির ট্রাকের পেছনে দৌড়ানো বন্ধ করতে হবে, আমাদের যেসব ভাইরা গুম হয়ে গেছে তাদের পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে হবে।
সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, সরকার গোটা দেশটাকে এরা নির্যাতনের কারখানা বানিয়ে ফেলেছে।আপনারা কী সতজিত রায়ের সেই হীরক রাজার দেশ ছবিটি দেখেছেন? একটু দেখবেন। হীরক রাজার দেশে এসব ঘটনাগুলোই ঘটিয়েছিলো হীরক রাজা। তারপর একদিন সমস্ত মানুষ যখন ক্ষেপে উঠলো, হীরক রাজা একটা বড় মূর্তি বানিয়েছিলো।এটা যেদিন উদ্বোধন করবে সেইদিন সব মানুষ ওই মূতিতে দড়ি লাগিয়ে বললো, দড়ি ধরে মারো টান, রাজা হবে থান খান।
আমাদেরকেও দড়ি ধরে টান মারতে হবে, ওদের গদি খান খান করতে হবে, তাদের তথতে তাউস ছুঁড়ে ফেলে দিতে হবে। জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেজন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আসুন সেই লক্ষ্যে আমরা রাজপথে নেমে সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগে বাধ্য করতে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নেই।
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের জুয়েলের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন ও সাদরেজ জামানের পরিচালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, মীর সরাফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, আমিনুল হক, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম সাওয়ার, বিথিকা বিনতে হোসাইন, আনু মোহাম্মদ শামীম আজাদ, ইয়াসীন আলী, রফিক হাওলাদার, ফখরুল ইসলাম রবিন, গাজী রেজওয়ান উল হোসেন রিয়াজ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।