জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোঃ আবদুল লতিফ। জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব প্রফেসর ড. মোঃ এমতাজ হোসেনের আবেদনে তাঁকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এর আগে গত ২১ আগস্ট বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অনুমোদন রয়েছে জানিয়ে উক্ত আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেন।
আবেদনপত্রে বলা হয়, জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মোঃ আব্দুল কুদ্দুস স্ট্রোকজনিত কারণে দীর্ঘ ০৯ মাস ধরে আগারগাঁওয়ের নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে কোমায় আছেন। ডাক্তারদের ভাষ্যমতে, তাঁর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে। এমতাবস্থায় জিয়া পরিষদের কার্যক্রমতে গতিশীল করার জন্য সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ আবদুল লতিফকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া অনুরোধ করা হয়। অনুরোধের প্রেক্ষিতে ডা. মোঃ আবদুল লতিফকে জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল লতিফ ১৯৬৯ সালের ১৫ জুলাই রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আনোয়ার হোসেন এবং মায়ের নাম সাজেদা বেগম। তিনি রাজশাহীর আড়ানী মনোমোহিনী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এসএসসি ও আড়ানী ডিগ্রি কলেজ থেকে ১৯৮৬ সালে এইচএসসি পাস করেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯০ সালে তিনি বিএসসি এগ্রি. (অনার্স) ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কীটতত্ত্ব বিষয়ে ২০০০ সালে এমএস ও ২০০৭ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
আব্দুল লতিফ ১৯৯৫ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ কৃষি ইনস্টিটিউটের (২০০১ সালে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত) কীটতত্ত্ব বিভাগে প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন। ২০০১ সালে তিনি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) সহকারী অধ্যাপক, ২০০৭ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০২১ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, বিভাগীয় সভাপতি, ছাত্র হলের প্রভোস্ট, সহকারী প্রক্টর, শেকৃবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তিনি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে তার প্রায় ৭০টি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।