ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, বিপদের সময়ে ধৈর্য্য ধারণ করা মোমেনের চরিত্র। অস্থির হলে চলবে না, তাই ধৈর্য্য ধারণ করা এবং আল্লাহর ওপর পরিপূর্ণ ভরসা রাখতে হবে।
মঙ্গলবার সকালে লাকসাম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ১০.৫০মি. লাকসাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, বেলা ১১ টায় লাকসামের দক্ষিণ বাইপাশ এলাকার নূর মোটরস এর অস্থায়ী ক্যাম্প পরিদর্শন ও বন্যার্তদের মাঝে হাদিয়া বিতরণ, বেলা সাড়ে ১১ টায় সোনাইমুড়ী আলিয়া হামিদিয়া মাদরাসা আশ্রয়কেন্দ্র, দুপুর ১টায় নোয়াখালী সেনবাগের কানকির হাট বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন ও হাদিয়া বিতরণ, দুপুর ২টায় সেনবাগ উপজেলা গেট মারকাজুল ওহি ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার সামনে বন্যাদুর্গতদের খোঁজ খবর নিয়ে হাদিয়া বিতরণ, ফেনীর ছাগলনাইয়া নিশ্চিন্তপুর, ছাগলনাইয়া জিরোপয়েন্ট ও চৌদ্দগ্রাম চিওড়া এলাকায় বন্যাদুর্গতদের বর্তমান পরিস্থিতি পরিদর্শন করে হাদিয়া বিতরণ করেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় মহিলা ও পরিবার ক্যলাণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দীন, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক আলহাজ জান্নাতুল ইসলাম, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা আল মোহাম্মদ ইকবাল ও আলহাজ্ব সেলিম মাহমুদ, ছাত্রনেতা মুনতাসির আহমদ ও শ্রমিক নেতা মুফতী মোস্তফা কামাল, শহিদুল ইসলাম কবির প্রমূখ।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, প্রতিবছর ভারত থেকে আসা পানি আমাদেরকে তলিয়ে দেয়। এর স্থায়ী সমাধান করা দরকার। এজন্য প্রয়োজনে বাংলাদেশের উপর দিয়ে বাদ দিতে যা করার দরকার দেশের মানুষ তা করতে প্রস্তুত আছে। বাংলাদেশের জনগণ স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নিজেদের অর্থ দিয়ে শক্তিশালী বাঁধ দেয়া হলে আগ্রাসী ভারত আর কখনো তলিয়ে দিতে পারবে না। বাঁধ দেয়া হলে কখনো ভারতের সামনে আমাদের মাথা নত করতে হবে না বরং ভারত আমাদের কাছে মাথানত করতে বাধ্য হবে। তিনি বলেন, ভারতের কাছ থেকে নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়। দেশের ভেতরে নদী ও খাল খনন। নদী দখল প্রতিরোধে দীর্ঘ মেয়াদে রাজনৈতিক সংগ্রাম করা না গেলে এই বিপর্যয় থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে না। এ জন্য স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি বলেন, এই মসিবত থেকে বাঁচতে আল্লাহর দরবারে আমাদেরকে বেশী বেশী দুআ করতে হবে। সর্বাবস্থায় আল্লাহর সাহায্য চাইতে হবে।