বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থাকে ধামাচাপা দিয়ে কর্তৃত্ববাদী অবৈধ সরকার জনগণের করের টাকায় আমেরিকায় লবিস্ট নিয়োগ করেছে, যা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের মাধ্যমে স্বীকৃত। তার ভাষ্য মতে সরকারের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের জন্য তারা লবিস্ট নিয়োগ করেছে।
ফখরুল বলেন, খুন, গুমের মতো অপরাধের সাথে জড়িত ব্যক্তির দায় কিংবা ব্যক্তির স্বেচ্ছাচারিতায় নিমজ্জিত প্রতিষ্ঠানের দায় রাষ্ট্র কিংবা সরকার কীভাবে জনগণের টাকায় ভাবমূর্তি রক্ষার নামে ব্যয় করে? বিএনপি মনে করে, জনগণের টাকায় লবিস্ট নিয়োগ করে সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের মত গুরুতর অপরাধে নিজেদের জড়িত থাকার বিষয়টিই প্রতিষ্ঠিত করেছে।
মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি মনে করে, সরকার জড়িত না থাকলে তা প্রমাণের জন্য তারা উক্ত সাত কর্মকর্তাকে আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করত। খুন, গুম, গায়েবী মামলা দায়ের বন্ধ করে, নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে হেঁটে সরকার পদত্যাগ করত।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ২০০৫ সাল থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে আওয়ামী লীগ ‘৯০ লাখ ডলার খরচ করে লবিস্ট নিয়োগ করেছিল’ তখনকার বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে। ওই টাকার উৎস কী ছিল, কীভাবে তা বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় গিয়েছিল।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে সোমবার দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতেই এ সংবাদ সম্মেলনে আসেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সরকারের মন্ত্রীদের অভিযোগ খণ্ডন করে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে কথা বলেছেন সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী। যে চিঠির কথা বলা হয়েছে, এই চিঠি দেখিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে। আপনারা দেখুন ওই কাকে লেখা হয়েছিল এবং চিঠির বিষয়বস্তু কী ছিল।
ফখরুল দাবি করেন, বিএনপি মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার সকল ব্যক্তির ‘সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য আশ্রয়স্থল, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের সবচেয়ে বড় ভ্যানগার্ড’। আর তাই বিএনপি তার আন্দোলন-সংগ্রামের অংশ হিসেবেই দেশের ডেভেলপমেন্ট পার্টনারদের সময় চায়, মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ চায়, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রামে দেশি-বিদেশি সব অংশীদারদের এই সরকারের সকল অপকর্ম সম্পর্কে অবগত রাখতে চায়। বিদেশিদের কাছে লেখা আমার ওই চিঠিসমূহ কোনো লবিস্ট নিয়োগের বিষয় নয়, মানবাধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি আহবান মাত্র।
হবিগঞ্জের সাবেক পৌর মেয়র জিকে গাউসসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৪০ নেতা-কর্মীকে কারাগারের পাঠানোর নিন্দা জানান মির্জা ফখরুল।