শিরোনাম
  • পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপির লজ্জা পাওয়া উচিত: কাদের বৃত্তি পেল সেরা ১৫ জন স্কুল ক্রিকেটার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে আজ, অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে সবার চাওয়া সুষ্ঠু ও পক্ষপাতহীন উপজেলা নির্বাচন: ইসি আহসান হাবিব  তরুণদের উদ্ভাবনী জ্ঞান ও বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তাকে কাজে লাগাতে হবে : স্পিকার ক্ষমতার জন্য বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে :  কাদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনায় নতুন নির্দেশনা জলবায়ু অভিযোজনে সহায়তা দ্বিগুনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী  বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ঢাকা ও ব্যাংককের পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি স্বাক্ষর
  • চিকিৎসা শিক্ষা আইন পাস : হোমিওপ্যাথির চিকিৎসার মান বৃদ্ধি পাবে

    ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

    ৩ নভেম্বর, ২০২৩ ১০:২৯ অপরাহ্ন

    চিকিৎসা শিক্ষা আইন পাস : হোমিওপ্যাথির চিকিৎসার মান বৃদ্ধি পাবে

    বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ডিপ্লোমা, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সনদ প্রদান, নিবন্ধন, গবেষণা এবং চিকিৎসা শিক্ষার মান উন্নয়নে এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও গবেষক তৈরি করার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা বিল, ২০২৩’ পাস করা হয়েছে।

    সামরিক আমলে জারীকৃত ‘দ্য বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক প্র্যাক্টিশনার্স অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৩’ রহিতক্রমে নতুনভাবে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে বাংলায় এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
    স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের পক্ষে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আজ জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন এবং ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে কণ্ঠভোটে এটি পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়।  আইনে বলা হয়েছে, অর্জিত চিকিৎসা শিক্ষা যোগ্যতা ব্যতীত অন্য কোনো কোর্সের নাম, ডিগ্রি, সনদ, উপাধি, পদবি, বিবরণ বা প্রতীক ব্যবহার, প্রকাশ বা প্রচার করলে এটি হবে একটি অপরাধ, এবং এজ্ন্য তিনি অনধিক ১ বৎসর কারাদন্ড বা অনধিক ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হবেন।বিলের বিধান লঙ্ঘন করে হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়াতে অন্তর্ভুক্ত নেই এমন কোনো ঔষধ চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্রে লিখলে বা বললে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অনধিক ১ বৎসর কারাদন্ড বা অনধিক ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।    আইনে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি নিবন্ধন ব্যতীত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসাবে হোমিওপ্যাথিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা প্রদান বা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব পালন বা শিক্ষাদান করলে অথবা হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়াতে অন্তর্ভুক্ত ঔষধ ব্যতীত অন্য কোনো ঔষধ মজুদ, প্রদর্শন বা বিক্রয় করেন তা হলে তিনি অনধিক ১ বৎসরের কারাদন্ড বা অনধিক ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।বিলে আরও বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতিবিহীন কোনো হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো কোর্স পরিচালনা বা সনদ প্রদান করলে এবং এজ্জন্য তিনি বা ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক বা স্বত্বাধিকারী, চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী পরিচালক, ব্যবস্থাপক, অংশিদার বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা এজেন্ট বা প্রতিনিধি বা অন্য যে কোনো নামেই অভিহিত হউক না কেন, অনধিক ৩ (তিন) বৎসরের কারাদন্ড বা অনধিক ৫ লাখ টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করতে পারেন যে, উক্ত অপরাধ তার অজ্ঞাতসারে হয়েছে অথবা উক্ত অপরাধ রোধ করার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।
    বিলটির উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে মন্ত্রী বলেন, এই আইনের মাধ্যমে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শাস্ত্রে উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা, সেবার মান এবং সুযোগ-সুবিধার সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন ঘটবে। বর্ণিতাবস্থায়, ‘বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন, ২০২৩’ শীর্ষক বিলটি জাতীয় সংসদে আনা হয়েছে।বিল পাসের প্রক্রিয়ায় আলোচনায় অংশ নেন সংসদে বিরোধী দলের সদস্য ফখরুল ইমাম, রওশন আরা মান্নান, হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, রুস্তম আলী ফরাজী, কাজী ফিরোজ রশীদ ও স্বতন্ত্র সদস্য রেজাউল করিম বাবলু।এর আগে গত ২৩ অক্টোবর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপনের প্রস্তাব করেছিলেন।বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড চেয়ারম্যান  ডা. দিলিপ কুমার রায় বলেন, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের কোনো স্থায়ী কাউন্সিল এবং আইন না থাকায় প্রায় নানা রকম জটিলতা তৈরি হয়ে আসছিল। আইনটি পাস হওয়ায় হোমিওপ্যাথিকে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা থেকে শুরু করে এ চিকিৎসা পদ্ধতিতে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগবে।এর আগে হোমিওপ্যাথিক ও ইউনানি চিকিৎসকরা নামের আগে ডাক্তার পদবি লিখতে পারবে না মর্মে না বলে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এ আইন পাসের মাধ্যমে নামের আগে চিকিৎসক পদবি ব্যবহারে বাধা দূর হলো।

    > ফার্মাকোপিয়া কি?
    ফার্মাকোপিয়া হলো একটি সুপ্রীম বই যা একটি অথোরিটির অথবা সরকার দ্বারা পাব্লিক হয়ে থাকে, মেডিসিন তৈরীর পক্রিয়া, ভেষজের মান রুলস এবং রেগুলেশন লিপিবদ্ধ থাকে।পৃথিবীতে ৫ টি হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়া চলমান আছে:-
    ১) জার্মান হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়া
    ২) বিট্রিশ হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়া
    ৩) আমেরিকার হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়া
    ৪) ফ্রান্স হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়া
    ৫) ইন্ডিয়ান হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়া।

    উত্ত ফার্মাকোপিয়াতে কি কি মেডিসিন প্রিপারেশন করা যাবে ( যেমন:- টিংচার, পটেন্সী, গ্লোবিউস, সুগার অব মিল্ক, আই ড্রপ, লোশন, সাসপেন্সন, সাপোজিটার ইত্যাদি) ফর্মুলা লিপিবদ্ধ আছে।আবার সব ফার্মাকোপিয়া কিন্তু অফিসিয়াল না, আন অফিসিয়াল অনেক এডিসিন যা পরবর্তী সংস্করণ করা হয়েছে এবং মতামতের ভিত্তিতে ঝুলন্তু অবস্থায় আছে। প্যাটেন্ট, টনিক এই সব ড্রাগ কিন্তু কোন ফার্মাকোপিয়াতে অন্তর্ভুক্ত নয়।সেক্ষেত্র মনে হয় ম্যাজিক দেখানো কিছুটা কমে যাবে।তবে এতে করে হোমিওপ্যাথির অনেক উপকার হবে।তাই রঙ বে রঙের কালার ফুল মেডিসিনের ঝক ঝকে এলোপ্যাথি প্যাকেট এর হোমিওপ্যাথি মেডিসিন এর দৌরাত্ম কমবে, মানুষ সঠিক চিকিৎসা পাবে।

    > হোমিওপ্যাথির ইতিহাস : শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা:-হোমিওপ্যাথি হল একটি বৈজ্ঞানিক  চিকিৎসা পদ্ধতি। এটি ১৭৯৬ সালে জার্মান চিকিৎসক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান আবিষ্কার করেন। হোমিওপ্যাথ নামে পরিচিত এর চিকিৎসকরা বিশ্বাস করেন যে পদার্থ সুস্থ মানুষের মধ্যে একটি রোগের উপসর্গ সৃষ্টি করে সেই একই পদার্থ অসুস্থ মানুষের মধ্যে একই ধরনের উপসর্গ নিরাময় করতে পারে; এই মতবাদকে বলা হয় সিমিলিয়া সিমিলিবাস কিউরেন্টার, বা "সদৃশ সদৃশকে আরোগ্য করে"।হোমিওপ্যাথিক ঔষধকে রেমিডি বলা হয় এবং হোমিওপ্যাথিক ডায়োলেশন ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। এই প্রক্রিয়ায়, নির্বাচিত পদার্থ বারবার মিশ্রিত করা হয় যতক্ষণ না চূড়ান্ত পণ্যটি রাসায়নিকভাবে দ্রবণীয় থেকে আলাদা হয়। প্রায়শই মূল পদার্থের একটি অণুও পণ্যটিতে থাকার আশা করা যায় না।প্রতিটি ডায়োলেশনে হোমিওপ্যাথ ঔষধটিকে আঘাত করতে পারে অথবা ঝাঁকি দিতে পারে, এই দাবী করে যে পাতলা পদার্থটি অপসারণের পরে মূল পদার্থটি মনে রাখে। চিকিৎসকরা দাবি করেন যে এই ধরনের প্রস্তুতকৃত ঔষধ, রোগীকে খাওয়ার পরে, রোগের চিকিৎসা বা নিরাময় করতে পারে।ডা.হ্যানিম্যান বিশ্বাস করতেন সকল অসুখের মূলে রয়েছে "মিয়াসম" নামক একধরনের প্রতিক্রিয়া এবং হোমিওপ্যাথিক ওষুধ এই মিয়াসম দূর করার জন্য কার্যকর। সাধারণত হোমিওপ্যাথিক ওষুধ তৈরি করার জন্য একটি নির্দিষ্ট দ্রব্যকে ক্রমাগত লঘূকরণ করা হয় অ্যালকোহল অথবা পতিত জলে দ্রবীভূত করে। এই লঘূকরণ এতবার করা হয়ে থাকে যে শেষপর্যন্ত এই মিশ্রণে প্রাথমিক দ্রব্যের অণু পরিমাণও অবশিষ্ট থাকে না।ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জৈবরসায়ন এবং জীববিজ্ঞান সম্পর্কে যে সকল প্রাসঙ্গিক বৈজ্ঞানিক জ্ঞান অর্জিত হয়েছে তা হোমিওপ্যাথির বিপরীত।

    > বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথির অবস্থান :-
    বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে এর জনপ্রিয়তা অনেক। ফলে দেশটির অনেক শিক্ষার্থীই এখন পেশা হিসেবে হোমিওপ্যাথিকে বেছে নিচ্ছেন।আর হোমিওপ্যাথির উৎপত্তি জার্মানিতে, প্রায় দু’শ বছর আগে। যদিও ভারতীয় উপমহাদেশে এর ব্যবহার শুরু হয় প্রায় আশি বছর আগে; অর্থাৎ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর।সম্প্রতি একটি বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ ভাগ লোক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নেয়।বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সমন্ধে জ্ঞান অর্জনের জন্য সরকারি দুইটি কোর্স প্রচলিত আছে। একটি হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ৬ বছর ( ১ বছর ইন্টার্নি সহ) মেয়াদী ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারী (বিএইচএমএস) কোর্স এবং অন্যটি হলো বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের অধিভুক্ত ৪ বছর ৬ মাস (৬ মাস ইন্টার্নি সহ) মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথি মেডিসিন এন্ড সার্জারী (ডিএইচএমএস) কোর্স। বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বীকৃত হোমিওপ্যাথির ব্যাচেলর ডিগ্রি প্রদানকারী ২টি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ এবং বোর্ড স্বীকৃত ৬৭টি ডিপ্লোমা ডিগ্রি প্রদানকারী মেডিকেল কলেজ/ইন্সটিটিউট রয়েছে।

    > অন্যান্য দেশে হোমিওপ্যাথির অবস্থান:-

    লন্ডন, জার্মানি এবং পার্শ্ববর্তীদেশ ভারত, পাকিস্থান, শ্রীলংকা,মালয়েশিয়া সহ বিশ্বের নানান দেশে হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা অর্জনের জন্য বিভিন্ন স্বীকৃত কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। যুক্তরাজ্যে রয়েল লন্ডন হোমিওপ্যাথিক ইউনিভার্সিটি নামে একটি হোমিওপ্যাথিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
    > হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থা আসলে কতটা কার্যকর?ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ সাব্বির হায়দার বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''অন্যান্য অনেক চিকিৎসা ব্যবস্থা যেমন আছে, হোমিওপ্যাথি তার মতোই একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা।দুইশো বছর ধরে এটি চলে আসছে। এটি সফল বা কার্যকর না হলে এতো মানুষ তো এতদিন ধরে চিকিৎসা নিতো না, কোন ভিত্তিহীন বিষয় তো এতদিন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে পারতো না।''তিনি বলছেন, ওষুধের দিক থেকে পার্থক্য না থাকলেও, চিকিৎসা পদ্ধতিতে পার্থক্য আছে। একটি রোগ কিভাবে সনাক্ত করবো, সেটির চিকিৎসা কীভাবে করা হবে, সে নিয়ে অ্যালোপ্যাথির সঙ্গে বড় পার্থক্য রয়েছে।
    কারণ এই চিকিৎসাটি মূলত লক্ষণ ভিত্তিক আর এখানেই অ্যালোপ্যাথির সঙ্গে তার একটি বড় পার্থক্য রয়েছে বলে তিনি বলছেন।

    > হোমিও চিকিৎসায় রোগ নির্মূল সম্ভব, তবে...
     
    হোমিওপ্যাথিকে সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি ও বিজ্ঞান হিসেবে অভিহিত করা হয়। ৫ হাজার বছর আগে থেকেই আয়ুর্বেদিক, শল্য, ইউনানি চিকিৎসার দাপট থাকলেও মাত্র ২০০ বছর আগে হোমিওপ্যাথি পদ্ধতির প্রচলন শুরু হয়। এখনো অনেকের হোমিওপ্যাথির ওপর আস্থা নেই। আর এ পদ্ধতি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে অনেক বিতর্ক, আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে।

    তবে যে যাই বলুক, হোমিওপ্যাথি এক উত্তম চিকিৎসা পদ্ধতির নাম; যা মানুষের রোগকে নির্মূল করে। হোমিওপ্যাথির কাজ এত গভীর সত্যিই অবাক হবার মতো। অবশ্য অনেকেই হোমিওপ্যাথিতে আস্থা আনতে পারেননি। তাদের মতে- অনেক চিকিৎসা করেছি কিন্তু হোমিওতে কোনো সুফল পাইনি। এটা স্বাভাবিক। অনেকের হোমিও ওষুধে কোনো কাজই হয়নি। আর এটা হোমিও পদ্ধতি ও ওষুধের জন্য নয়; চিকিৎসকের জন্য। তিনি রোগ সম্পর্কে বুঝতে পারেননি। সঠিক রোগের সঠিক ওষুধ প্রয়োগ হলে রোগ নির্মূল সম্ভব।

    শতকরা ৮০-৯০ ভাগ রোগী এই চিকিৎসায় সুফল পেয়ে থাকেন আমি  দাবি করতে পারি।। তবে অনেককে দেখেছি হোমিওর মূলনীতি থেকে সরে গিয়ে দুই-একটি বই আয়ত্ত করে চিকিৎসক সেজে বসে আছেন। তারা সঠিক রোগ বা লক্ষণ নির্বাচনেও অক্ষম। তাদের কাছে রোগী গেলে হোমিওপ্যাথির বদনাম হবেই হবে।

    এক সময় আমারও আস্থা ছিল না এ পদ্ধতির ওপর। মনে হতো- হোমিও পদ্ধতি একটি প্লাসিবো। রোগীকে এমন ওষুধ বা ব্যবস্থাপনা দেওয়া, যার বাস্তবে রোগের সঙ্গে কোনো সম্পর্কই নেই। শুধুমাত্র মনের জোরেই রোগমুক্তি হয়।  হোমিওপ্যাথিতে ওষুধ  আছে; কিন্তু চিকিৎসক নাই।  হোমিওপ্যাথি মূলত এমন একটি বিধান যা ‘সদৃশ সদৃশকে আরোগ্য’ করে। লক্ষণ মিলিয়ে সঠিক ওষুধ প্রয়োগ করলে হোমিওতে রোগ নির্মূল করা সম্ভব। অবশ্য ক্রনিক রোগ নির্মূলে সময় বেশি লাগে বলে রোগীরা অধৈর্য হয়ে পড়েন। বিষয়টি যারা বোঝেন- তারা ধৈর্য ধরে চিকিৎসা নেন। আবার অনেকে মাঝপথে চিকিৎসা ছেড়ে দিয়ে হোমিও বিধানের বদনাম করেন।

    পরিশেষে বলতে চাই, বহুল প্রতিক্ষার পর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিক্ষা ২০২৩।আইন জাতীয় সংসদে পাশ হয়েছে। উক্ত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিক্ষা নীতির জন্য যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি। তাই  হোমিও বান্ধব সরকার বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি , স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালিক এমপি,মাননীয় সভাপতি সংসদীয় স্থায়ী কমিটি জনাব শেখ ফজলুল করিম সেলিম, এমপি ও বোর্ড চেয়ারম্যান ডাঃ দিলীপ কুমার রায় সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তাদের জন্য আজ হোমিওপ্যাথি জাতি আজ অস্তিত্ব খুজে পেলো।আজ আর কেউ ভয়ে তার নামের আগে ডাক্তার শব্দটি মুছে ফেলবে না, এই ভেবে যে কখন কোন এলোপ্যাথি ডাক্তার তাদের বি এম ডি সি আইনে মামলা দিয়ে সাজা ভোগ করায়। এখন আর কেউ বলতে পারবে না তোরা ত ডাক্তার না, তোরা ত হোমিওপ্যাথ,আলহামদুলিল্লাহ  সেই দরজা খুলে গেল এখন থেকে গলা উচু করে বলতে পারব আমি ডাক্তার আমাদের নিজস্ব একটা কাউন্সিল আছে, আমরা আইনের অন্তর্ভুক্ত ডাক্তার, সংসদ স্বীকৃত গ্যাজেট ভুক্ত। পুরো গ্যাজেট সম্পূর্ণ হোমিওপ্যাথি বান্ধব হয়েছে।তাই দেশে হোমিওপ্যাথির চিকিৎসার মান বৃদ্ধি পাবে। আর ভুয়া চিকিৎসক ও অপচিকিৎসা কমবে।

    লেখক:
    কলাম লেখক ও গবেষক
    প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি
    ইমেইল, drmazed96@gmail.com




    বিশেষ কলাম - এর আরো খবর

    ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস 

    ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস 

    ৩ নভেম্বর, ২০২৩ ১০:২৯ অপরাহ্ন

    শেখ হাসিনার হাত ধরে নতুন দিগন্তে বাংলাদেশ

    শেখ হাসিনার হাত ধরে নতুন দিগন্তে বাংলাদেশ

    ৩ নভেম্বর, ২০২৩ ১০:২৯ অপরাহ্ন