বিএনপির আন্দোলনে লোকসমাগম দেখে ওবায়দুল কাদের সাহেবরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে মন্তব্য করে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আসলে ওবায়দুল কাদের ডিমেনশিয়া রোগে ভুগছেন। এমনিতেই শারীরিকভাবে অসুস্থ। এখন মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে গেছেন। ওবায়দুল কাদের বলেছেন- বিএনপির আন্দোলনের নাকি বারোটা বেজেছে। এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, আসলে আমাদের কর্মসুচিতে লোকসমাগম দেখে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। আবোল তাবোল বলছে। ওবায়দুল কাদের ডিমেনশিয়া রোগে ভুগছেন। কারণ তাদেরতো জনভিত্তি নেই। তারা তাদের নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে এসব বলছেন। আমি বলবো- ওবায়দুল কাদের এখনো সময় আছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিন। এটা চাওয়া কোনো ষড়যন্ত্র নয়, এটা জনগণের দাবি।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর লেকশোর হোটেলে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সাবেক আহবায়ক ও এ্যাব‘র সাবেক সভাপতি আমার দেশ সম্পাদক প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান ও বরেণ্য সম্পাদক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি সাজার প্রতিবাদে এই প্রতিবাদে "মাহমুদুর রহমানের সংগ্রাম ও সাংবাদিকতা" শীর্ষক সভার আয়োজন করে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব)।
সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আসাদুজ্জামান চুন্নুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে মাহমুদুর রহমানের উপর প্রবন্ধ পাঠ করেন আমারদেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাংবাদিক নেতা বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী, বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহ, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, বিএফইউজের মহাসচিব নূরুল আমিন রোকন, এ্যাব নেতাদের মধ্যে প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, প্রকৌশলী মো: মোস্তাফা-ই জামান সেলিম, মহিউদ্দিন আহমেদ সেলিম, গোলাম মাওলা, সুমায়েল মল্লিক, মাহবুব আলম, শাহাদাত হোসেন বিপ্লব, মোতাহার হোসেন। এছাড়াও প্রকৌশলী আফজাল হোসেন সবুজ, সাইফুল ইসলাম, প্রকৌশলী আইয়ুব হোসেন মুকুল, বিএনপি নেতা টিপু আব্বাসসহ বিভিন্ন পেশাজীবী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
রিজভী বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার ধারা ওয়ান ইলেভেনের সময় থেকেই শুরু হয়েছে। এজন্য আজকের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ‘ওয়ান ইলেভেন তাদের আন্দোলনের ফসল‘। সেসময় সেনাপ্রধান মঈন উদ্দিন আহমেদ বললেন- ‘হাওয়া ভবনের কারণে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের নামে ২০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে‘! পরে সেটার দাঁতভাঙ্গা জবাব কলামের মাধ্যমে দিয়েছিলেন মাহমুদুর রহমান। তিনি লিখলেন- ‘গোটা ৫ বছরে বাজেট হলো ১৩ হাজার কোটি টাকা‘। সেখানে ২০ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে কিভাবে? আসলে দেশী-বিদেশী চক্রান্তের অংশ হলো ওয়ান ইলেভেন।