হেলিকপ্টার তৈরিতে সফলতার পর এবার জার্মানির বার্লিনে বিমান তৈরিতে সফল হয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন খুলনার পাইকগাছার কৃতি সন্তান কে এম আসাদুজ্জামান রুহিন (৪৮)। তিনি ১৯৭৩ সালে উপজেলার লস্কর ইউনিয়নের লক্ষীখোলা গ্রামের সম্ভ্রান্ত কাগজী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ওই এলাকার সাবেক চেয়ারম্যান কেএম অহিদুজ্জামানের ছেলে ও বর্তমান চেয়ারম্যানের বড় ভাই।
শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। নিজ গ্রামের লক্ষীখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার শিক্ষা জীবন শুরু হয়। ৫ম শ্রেণিতে ওই স্কুল থেকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি প্রাপ্ত হয়ে উপজেলায় মেধা তালিকায় ১ম স্থান দখলের খ্যাতি অর্জন করেন তিনি। এর পর ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে তিনি খুলনা সেন্ট জোসেফ স্কুলে ভর্তি হন। এসএসসিতে ওই স্কুল থেকে ১ম স্থান দখল করে ১৯৯২ সালে যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে কৃতিত্বের সহিত এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে কেএফ ইউনেস্কো এ্যারোনেটিক্স ভর্তি হয়ে তিনি শিক্ষা জীবন শেষ করেন। পরবর্তীতে রুহিন জার্মানির বার্লিনে ১৯৯৮ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত রাডার, হেলিকপ্টার তৈরির সাফল্য অর্জন করেন।
এ ব্যাপারে পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু জানান, সাবেক চেয়ারম্যান কে এম অহিদুজ্জামানের ছেলে দীর্ঘদিন জার্মানিতে থেকে বিমান তৈরি করছে আমি শুনেছি। এর আগেও সে রাডার, হেলিকপ্টার তৈরি করে শুধু পাইকগাছাবাসীর নয় বিশ্ববাসীর কাছে দেশের মুখ উজ্বল করেছে। রুহিন যেন তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছে দেশের সুনাম সমুন্নত করতে পারে সে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এ ব্যাপারে জার্মানির এয়ারবাস কোম্পানির এরোনেটিক ইঞ্জিনিয়ার রনজিত দাশ বলেন , কে এম আসাদুজ্জামান রুহিন এয়ারবাস বাণিজ্যিক হামবুর্গ জার্মানিতে কেবিন হাইড্রোলিক এবং যান্ত্রিক সিস্টেমের প্রধান। তিনি এয়ারবাস কোম্পানিতে বিমান তৈরির সাফল্য অর্জন করেছেন। সর্বশেষ রুহিন উত্তরোত্তর সফতার সঙ্গে কাঙ্খিত লক্ষ অর্জনে উপজেলাসহ দেশবাসীর নিকট দোয়া প্রার্থনা করেছেন।