যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় এ রেকর্ড হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্র জানিয়েছে।
যুক্তরাজ্যে সরকার জানায়, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ লাখ ২২ হাজার ১৮৬ জনের ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবারের সংখ্যার চেয়ে এ সংখ্যা ২ হাজার জন বেশি। ইউরোপে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৮৫৭ জন প্রাণ হারিয়েছে।
এদিকে আগের সপ্তাহের তুলনায় গত ৭দিনে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা ৪৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃতের সংখ্যাও অনেক বেড়ে গেছে। সরকারি ছুটির কারণে সরকার ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের ভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা হালনাগাদ করবে না বলেও জানানো হয়েছে।
অপরদিকে ফ্রান্সে শুক্রবার করোনাভাইরাসে আক্রান্তের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ হাজার ১২৪ জনের ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। কভিড-১৯ মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর এ সংখ্যা সর্বোচ্চ। খবর এএফপি’র। সংক্রমণ বেড়ে সর্বোচ্চ চূড়ায় যাওয়ায় এক্ষেত্রে দ্বিতীয় দিনের মতো এ রেকর্ড সৃষ্টি হলো।
করোনাভাইরাসে অতি সংক্রামক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় এবং ক্রিসমাসের ছুটি শুরু হওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা আবারো বেড়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফ্রান্সে কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ১৬ হাজার ১৭৩ জন বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে ৩ হাজার ২৫৪ জন জরুরি সেবা ইউনিটে রয়েছে। মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে দেশটিতে প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার ৪৬২ জন প্রাণ হারিয়েছে।
এদিকে ফ্রান্সের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭৬.৫ শতাংশ ভ্যাকসিনের দুই ডোজ গ্রহণ করেছে এবং দেশটির ৬ কোটি ৭৪ লাখ বাসিন্দার প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ মানুষ বুস্টার ডোজ নিয়েছে। শুক্রবার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ প্রাপ্ত বয়স্কদের উভয় ডোজ ভ্যাকসিন নেয়ার ৩ মাস পর তাদের বুস্টার ডোজ দেয়ার সুপারিশ করেছে।