দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরন। এরইমধ্যে বিশ্বের ১০৬ টি দেশে এই ভাইরাস পৌঁছে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এতে বিশ্বজুড়ে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এটি মোকাবেলায় সতর্ক অবস্থায় থাকতে পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ওমিক্রন মোকাবেলায় এরইমধ্যে এশিয়া-ইউরোপের অনেক দেশ নতুন করে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করতে যাচ্ছে।
সূত্রমতে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এরই মধ্যে স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ি ফিরিয়ে আনতে শুরু করেছে। বড়দিনের পর জনসমাগম ও পার্টি করার ওপর বিধি-নিষেধ জারি করেছে জার্মানি। দেশটির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ গত মঙ্গলবার তাঁর দেশের নাগরিকদের সতর্ক করে বলেছেন, করোনাভাইরাস বড়দিনে ছুটি কাটাবে না; সংক্রমণের আরেকটা ঢেউ আসছে জেনেও চোখ বন্ধ করে রাখা উচিত হবে না।
বড়দিনের পরদিন থেকে পর্তুগালে সব বার ও নাইট ক্লাব বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের কভিড-১৯ কর্মসূচি বিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস হিপকিনস বলেছেন, তাঁর দেশ আগামী বছর ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত সীমান্ত বন্ধ রাখবে।
ওমিক্রন ঠেকাতে গত কয়েক দিনে নানা পদক্ষেপ নেওয়া দেশগুলোর মধ্যে আছে দক্ষিণ কোরিয়া, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি এবং আয়ারল্যান্ড। এর মধ্যে কোনো দেশ আংশিক কিংবা পূর্ণ লকডাউন দিয়েছে। আবার কোনো দেশ সামাজিক দূরত্ববিধি চালু রেখেছে।
থাইল্যান্ড গত মঙ্গলবার থেকেই বিদেশি ভ্রমণকারীদের জন্য কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করছে। যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং পর্তুগাল আরো পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে। বাংলাদেশও ওমিক্রন মোকাবেলা নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।