প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য জেলা-উপজেলাগুলোতে কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলম। তিনি বলেছেন, আমাদের শতভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখন এইচএসসি পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষা শেষ হলেই ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, আমাদের পরীক্ষার্থী সংখ্যা অনেক বেশি। এইচএসসি পরীক্ষা চলমান থাকায় কেন্দ্রগুলো ফাঁকা নেই। ভেন্যুগুলোতে পরীক্ষা শেষ হলেই কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত হবে। তখন পরীক্ষা আয়োজনে আর কোনো বাঁধা থাকবে না। করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে যেকোনো সময় এই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, পরীক্ষা আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। এজন্য সফটওয়্যারও প্রস্তুত করেছে তারা। এমনকি যারা আবেদন করেছেন তাদের প্রাথমিক যাচাইও শেষ হয়েছে। এখন সফটওয়্যার ওপেন হলেই নিয়োগ পরীক্ষার্থীরা এক ক্লিকিকেই পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নিতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন শুধু প্রবেশপত্রগুলো দিয়ে পরীক্ষা নেয়া হবে। এর আগে প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ঘোষণা দিয়েছেন জানুয়ারি মাসেই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গত বছরের ২৫ অক্টোবর অনলাইনে আবেদন শুরু হয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে। আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয় গত বছরের ২৪ নভেম্বর। পরে ৭২ ঘণ্টা সময় দেয়া হয় আবেদন ফি জমা দেয়ার জন্য। প্রাথমিকের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি।
সূত্রমতে, ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন প্রার্থী আবেদন করেছেন। এর মধ্যে প্রাক্–প্রাথমিকে ২৫ হাজার ৬৩০ জন এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শূন্যপদে ৬ হাজার ৯৪৭ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে।