চলতি আর্থিক বছরের জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের শুদ্ধাচার পুরস্কার দেয়া হয় গত ২৬ জুন। ২০২১ সালের জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল নীতিমালা অনুসারে মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের ৩ জন এবং এ মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন ৮টি দপ্তর সংস্হার একজন প্রধানকে এ পুরস্কার প্রদান করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, এমপি এবং সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে একমাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ টাকার চেক, একটি ক্রেস্ট এবং একটি সনদপত্র প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কর্মকর্তাদের কাজে উৎসাহ এবং উদ্দীপনা যোগানোর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ পুরস্কার প্রবর্তন করেন। সিনিয়র সচিব তার বক্তব্যে আশা প্রকাশ করেন যে এ পুরস্কার যাদের দেয়া হল তাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্যবোধ আরো বৃদ্ধি পাবে এবং যারা আজ এ পুরস্কার পাননি তাঁরা আগামীতে এটা পাওয়ার জন্য আরো সততা ও দক্ষতার সাথে কাজ করে যাবেন।
জনপ্রশাসনের ২য় হতে ৯ম গ্রেড ভুক্ত কর্মকর্তা অর্থাৎ প্রথম শ্রেনীর সকল কর্মকর্তাদের মাঝে গোপনীয় রিপোর্ট অধিশাখার অতিরিক্ত সচিব জনাব মোঃ তোফাজ্জেল হোসেনের হাতে প্রতিমন্ত্রী জনাব ফরহাদ হোসেন শুদ্ধাচার পুরস্কার তুলে দেন। তাকে দেয়া সনদপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন ও কর্মক্ষেত্রে এর যথাযথ প্রতিফলনের মাধ্যমে সহজে এবং দ্রুততম সময়ে জনসেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় জনাব মোঃ তোফাজ্জেল হোসেনকে শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত করছে।
তোফাজ্জেল হোসেন পুরস্কার প্রাপ্তির পর অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেত্রীত্বে এ দেশের সূর্য সন্তানরা জীবন বাজি রেখে মনরপণ যুদ্ধ করে এ দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনেন। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত এবং ২ লক্ষ মা বোনের চরম আত্মতাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা এসেছে বলেই আজ তিনি এ দেশের একজন সরকারি কর্মকর্তা হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। বীর মুক্তিযাদ্ধাগন যে একটি ক্ষুধা, দারিদ্রহীন সোনার বাংলার আশায় যুদ্ধ করেছিলেন তাদের সে ঋণ কোন দিনও শোধ দেবার নয়। তবে এ দেশের মানুষের জন্য তিনি তার সাধ্যমত সেবা দিয়ে কিছুটা হলেও বীর মুক্তিযাদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানাতে চান।
উল্লেখ্য সারা দেশের সিভিল প্রশাসনের ৯ম থেকে তদূর্দ্ধ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রতি বছরের দাপ্তরিক কাজের মূল্যায়নের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় যে গোপনীয় অনুবেদন অনুশাসনমালা - ২০২০ প্রবর্তন করেন তা প্রনয়ণে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনের মাধ্যমে কর্মকর্তাদের তার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ যে মূল্যায়ন করেন চাকরি স্হায়ীকরন এবং পদোন্নতিতে তা মূখ্য ভূমিকা পালন করে। জানা যায় তিনি চাকরি জীবনে যত জায়গায় কাজ করেছেন সব দপ্তরেই তিনি সততা, দক্ষতা এবং যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছেন