ফের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে শ্রীলংকায়। তীব্র বিক্ষোভের মুখে দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে জরুরি অবস্থার ঘোষণা দেন। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে তার এ ঘোষণা কার্যকর হয়েছে। সরকারবিরোধী বিক্ষোভ তীব্রতর রূপ নেয়ায় এ নিয়ে পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো জরুরি অবস্থার ঘোষণা দিলেন গোতাবায়া রাজাপাকসে।
এর আগে দেশটির ট্রেড ইউনিয়নগুলোর আহ্বানে শুক্রবার দেশজুড়ে ধর্মঘট পালন করে বিভিন্ন পেশাজীবী ও সাধারণ নাগরিকরা। ধর্মঘটে সাড়া দিয়ে শ্রীলংকাজুড়ে বন্ধ হয়ে যায় হাজার হাজার দোকানপাট, স্কুল ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
সূত্রমতে, বিগত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পার করছে শ্রীলংকা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশটিতে গণবিক্ষোভ ক্রমেই জোরদার হচ্ছে। এর মধ্যেই অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও দিনে দিনে আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। দেশটির অর্থমন্ত্রী চলতি সপ্তাহেই জানিয়েছেন, শ্রীলংকার হাতে এখন ব্যবহারযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমে এসেছে মাত্র ৫ কোটি ডলারে।
রিজার্ভের এ সংকটের কারণে খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানিসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী আমদানি করতে পারছে না দেশটি। দেশটির বর্তমান দুর্গতির জন্য রাজাপাকসে পরিবারের নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারকেই দায়ী করছে শ্রীলংকার সাধারণ জনগণ।
রাজাপাকসেবিরোধী বিক্ষোভ তীব্র হয়ে ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার আবারো জরুরি অবস্থা জারি করে শ্রীলংকা সরকার। এ প্রসঙ্গে দেশটির সরকারি এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জননিরাপত্তার স্বার্থে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।